Feature

আপ ট্রেন, ডাউন ট্রেন তো শুনেছেন, কীভাবে বুঝবেন একটি ট্রেন আপ না ডাউন

আপ অমুক ট্রেন বা ডাউন অমুক এক্সপ্রেস শুনে শুনে কান অনেকেরই অভ্যস্ত। কিন্তু এটা কি পরিস্কার যে কখন ট্রেন আপ হয় আর কখন ডাউন হয়?

আপ অমুক গাড়ি এত নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসছে। ডাউন অমুক গাড়ি এত নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়ছে। এমন শব্দ রেলস্টেশনে গেলেই শোনা যায়। এমনকি দূরপাল্লার টিকিটেও আপ না ডাউন তা দেওয়া থাকে।

একই রুটে একটি ট্রেন আপ হয়, অন্যটি ডাউন হয়। আপ ট্রেন বা ডাউন ট্রেন শব্দগুলি পরিচিত হলেও কোন যুক্তিতে একটি ট্রেন আপ আর অন্যটি ডাউন সেটা জানা জরুরি।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ভারতীয় রেলে ডাউন ট্রেন বলতে বোঝায় যখন একটি ট্রেন তার জোনাল বা ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টার থেকে ছাড়ছে তার গন্তব্যের উদ্দেশে। অর্থাৎ যখন একটি ট্রেন তার হোম স্টেশন থেকে ছেড়ে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে তখন তা ডাউন।

যেমন হাওড়া থেকে দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস। এটি যখন হাওড়া থেকে ছেড়ে দিল্লির দিকে রওনা দিচ্ছে তখন সেটি ডাউন রাজধানী এক্সপ্রেস। এর ঠিক উল্টোটা হয় আপ।

অর্থাৎ যখন কোনও ট্রেন তার হোম স্টেশনের দিকে আসছে তখন তা আপ হিসাবে পরিগণিত হবে। মানে যখন রাজধানী এক্সপ্রেস দিল্লি থেকে হাওড়া আসছে তখন তা আপ রাজধানী এক্সপ্রেস। কারণ সেটি তখন তার হোম স্টেশনের দিকে আসছে।

আপ, ডাউন বোঝার আরও একটি উপায় হল এর নম্বর। প্রতিটি ট্রেনের একটি করে নম্বর থাকে। সাধারণত একই রুটের একটি ট্রেনের আপ এবং ডাউন গাড়ির মধ্যে নম্বরের ফারাক হবে ১।

ডাউন ট্রেনের নম্বর বিজোড় সংখ্যা দিয়ে হবে। আর আপ ট্রেনের নম্বর জোড় সংখ্যা দিয়ে হবে। তাদের সব নম্বরটাই মিলবে, কেবল ফারাক হবে শেষের নম্বরে। যার ফারাক হয় ১টি নম্বরের।

যেমন হাওড়া থেকে দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসের নম্বর ১২৩০১। এটি ডাউন ট্রেন। আর দিল্লি থেকে হাওড়াগামী রাজধানী এক্সপ্রেসের নম্বর হল ১২৩০২। এটি আপ ট্রেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *