National

নাগের সাফল্যে ভারতীয় অস্ত্রাগারের শক্তি বাড়ল

সাফল্যের সঙ্গে পরীক্ষা সম্পূর্ণ করল ‘নাগ’। যা ভারতীয় অস্ত্রাগারের শক্তি অনেকাংশে বাড়িয়ে দিল সন্দেহ নেই। একদম নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানে নাগ।

নয়াদিল্লি : কদিন হল শব্দের চেয়ে দ্রুত গতি সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস যুক্ত হয়েছে ভারতীয় অস্ত্রাগারে। ব্রহ্মস-এর পাল্লাও বাড়ানো হয়েছে। ব্রহ্মস এর সংযুক্তি ভারতীয় অস্ত্রাগারকে সমৃদ্ধ করেছে। এবার সেই অস্ত্রাগার আরও সমৃদ্ধ হওয়ার পথে এগোল। সফল ভাবে পরীক্ষা হল নাগ-এর।

নাগ একটি ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র। পরিভাষায় অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল। এই সাফল্যের পর নাগ ভারতীয় অস্ত্রাগারে এক বড় শক্তি হয়ে যুক্ত হতে চলেছে।


বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টায় রাজস্থানের পোখরান-এর ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জ থেকে নাগ-এর পরীক্ষা হয়। মিসাইল ক্যারিয়ার ‘নমিকা’ থেকে ছোঁড়া হয় নাগ-কে। যা সাফল্যের সঙ্গে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সমর্থ হয়।


একদম ঠিক যেখানে আঘাত হানার ছিল একদম সেখানেই আঘাত হানে সেটি। ডিআরডিও জানিয়েছে রাত হোক বা দিন, নাগ শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্কে আঘাত হানতে সক্ষম।

এই নাগ ক্ষেপণাস্ত্রকে বলা হচ্ছে ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট। অর্থাৎ নাগকে লক্ষ্য স্থির করে দিয়ে ছুঁড়ে দেওয়ার পর ভুলে যাওয়া যায়। তা ঠিকই লক্ষ্যে আঘাত হানবে।

২০০৮ সালেই অবশ্য এই নাগ নামে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলটিকে ভারতীয় অস্ত্রাগারে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখন স্থির হয় ৩০০টি এমন ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৫টি মিসাইল ক্যারিয়ার ভারতীয় অস্ত্রাগারে যুক্ত করা হবে। এদিন নাগের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষার পর তা এখন ভারতীয় অস্ত্রাগারে শোভা পাওয়া সময়ের অপেক্ষা।

ভারত ডায়নামিকস লিমিটেড এই নাগ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। অন্যদিকে মিসাইল ক্যারিয়ার নমিকা তৈরি করছে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি। এদিন নাগ-এর সফল পরীক্ষার পর ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই সাফল্য যে এই সময়ে কতটা জরুরি তা সকলের অনুমেয়।

চিনের সঙ্গে সীমান্তে যেভাবে ভারতের উত্তেজনা বাড়ছে। যেভাবে চিনের রাষ্ট্রনায়ক সেনাকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলছেন সেখানে অবশ্যই ভারতের তার শক্তি সারা বিশ্বকে জানিয়ে রাখা জরুরি। নাগ সেই কাজটা ব্রহ্মস-এর পর করে দিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button