Health

মানুষ কোন বয়সে সবচেয়ে কম ঘুমোয়, জানাল গবেষণা

মানুষ কোন বয়সকালে সবচেয়ে কম ঘুমোয়, কেনই বা কম ঘুমোয়? ৬৩টি দেশে বিস্তর গবেষণা চালিয়ে অবশেষ সামনে এল প্রকৃত তথ্য।

মানুষ তাঁর জীবনের বিভিন্ন সময়কালে কখনও বেশি ঘুমোন, তো কখনও কম ঘুমোন। ঘুম মানুষের অবশ্য প্রয়োজন। কিন্তু কম ঘুম অনেক সময় শারীরিক অসুস্থতারও কারণ হয়। কিন্তু গবেষণা বলছে পুরো জীবনে মানুষের এমন ২০টি বছর কাটে যখন তাঁরা সবচেয়ে কম ঘুমিয়ে দিন কাটান।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, ইস্ট অ্যাঙ্গলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং লিয়ঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তা ৬৩টি দেশের ৭ লক্ষ ৩০ হাজার ১৮৭ জনকে পর্যবেক্ষণ নির্ভর। যাকে যথেষ্ট প্রামাণ্য বলেই মনে করছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশেষজ্ঞেরা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

গবেষণায় দেখা গেছে ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারী পুরুষ কম ঘুমোন। ঘুমের পিছনে তাঁরা বেশি সময় দিয়ে উঠতে পারেননা বলেই তাঁদের কার্যত বাধ্য হয়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুমিয়ে চালিয়ে দিতে হয়।

তবে তা মধ্যবয়স হওয়ায় কম ঘুমিয়েও তাঁরা তাঁদের কর্তব্য পালন করতে পারেন। কেন কম ঘুমোন? গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে।

একটা হল কাজের চাপ। কাজের জন্য অনেক সময়ও লাগে। ফলে তাঁদের কম ঘুম হয়। কর্মক্ষেত্রের চাপ একটি বড় কারণ। মহিলাদের ক্ষেত্রে আবার শিশুকে দেখাশোনা করে তারপর চাকরি বা ঘরের কাজ সামাল দিতে অনেক সময় যায়। ফলে তাঁরাও কম ঘুমোন। গবেষণা বলছে ৫৩ বছর বয়সের পর থেকে আবার বাড়তে থাকে ঘুমের গড় সময়।

গবেষকদের হিসাবে ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যের পুরুষরা গড়ে ৭ ঘণ্টা ঘুমোতে পারেন। একই বয়সী নারীরা পুরুষদের তুলনায় গড়ে ৭ মিনিট বেশি ঘুমোতে পারেন।

আবার দেশ ভিত্তিতে এই গড়ে কিছুটা এদিক ওদিক হয়। যেমন দেখা গেছে পূর্ব ইউরোপের দেশ স্লোভাকিয়া, আলবেনিয়া, রোমানিয়া বা চেক প্রজাতন্ত্রের ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা গড়ের তুলনায় ২০ থেকে ৪০ মিনিট বেশি ঘুমের সময় পান। আবার ৭ ঘণ্টারও কম ঘুমের সুযোগ পান ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *