Health

২ বছরের শিশুর ওজন ৪৫ কেজি, বিরলতম দৃষ্টান্তে বিরল অস্ত্রোপচার

এমন অনেক ঘটনাই ঘটে যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। যেমনটা হল এক শিশুকন্যার ক্ষেত্রে। ২ বছর বয়সে যার ওজন পৌঁছল ৪৫ কেজিতে।

মেয়েটি যখন জন্মায় তখন ওজন হয়েছিল আড়াই কেজি। এর চেয়ে বেশি ওজনের শিশু সারাদিনে অনেক জন্মগ্রহণ করে। ফলে স্বাভাবিক ছিল তার জন্ম। স্বাভাবিক ছিল ওজন।

কিন্তু যত দিন কাটতে থাকল ততই অস্বাভাবিকতাটা নজরে পড়তে শুরু করে। দেখা যায় ওই শিশুকন্যা যখন সবে ৬ মাসে পৌঁছেছে, তখনই তার ওজন হয়েছে ১৪ কেজি।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

অন্নপ্রাশনও হয়না ওই বয়সে। সেখানেই ওজন ১৪ কেজি! চিকিৎসকেরা তখন থেকেই কিছুটা হতবাক হয়েছিলেন। নজর রাখা হচ্ছিল শিশুটির দিকে।

এরপরও যতই দিন যেতে থাকে ততই অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে তার ওজন। অবশেষে ২ বছর ৩ মাস বয়সে তার ওজন পার করে যায় ৪৫ কেজি!

২ বছরের শিশুর ওজন ৪৫ কেজি! এমন এক বিরলতম ঘটনায় নড়ে বসেন চিকিৎসকেরা। এটা যে শিশুটির জন্য প্রাণঘাতীও হতে পারে তা বুঝতে আর দেরি করেননি তাঁরা।

দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা স্থির করেন যা পরিস্থিতি তাতে বেরিয়াট্রিক সার্জারি ছাড়া গতি নেই।

যদিও এত কম বয়সের কারও ওপর বেরিয়াট্রিক সার্জারির দৃষ্টান্ত ভারতে আগে নেই। ফলে চিকিৎসকদের কাছে এটা ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

বেরিয়াট্রিক সার্জারি করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর অবশ্য শিশুটি সুস্থ আছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন ২ বছরের একটি শিশুর স্বাভাবিক ওজন হয় ১২ থেকে ১৫ কেজির মধ্যে। এটাই স্বাভাবিক। সেখানে এই শিশুকন্যার ওজন পার করেছিল ৪৫ কেজি। ফলে ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া অন্য উপায় ছিলনা।

ওই শিশুর পাকস্থলীর একটি অংশ কেটে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। যাতে তার খিদে কমে। তাতে তার ওজনও কমে যাবে। আপাতত কঠোর পর্যবেক্ষণে রয়েছে শিশুটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *