সর্দিতেও স্বাদ-গন্ধ পাওয়া যায়না, করোনাতেও তাই, ফারাক বোঝালেন গবেষকরা
সর্দিতেও নাক বন্ধ হয়ে যায়। স্বাদ-গন্ধ ভাল করে পাওয়া যায়না। করোনাতেও তাই হয়। তাহলে বুঝবে কীভাবে সাধারণ সর্দি না করোনা? বুঝিয়ে দিলেন গবেষকরা।
লন্ডন : করোনা পূর্ববর্তী সময়ে, সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশি, সামান্য জ্বর নিয়ে কারও মাথাব্যথা ছিলনা। বিষয়টাকে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়েই জীবন চলত। খুব বেশি হলে বাড়িতে কিছু প্রচলিত টোটকা ব্যবহার করা হত। অথবা খুব বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে কোনও ওষুধ খেতেন অনেকে। খুব সর্দি হলে স্বাদ বা গন্ধ পাওয়াও যেত না। কিন্তু করোনা ছড়ানোর পর এখন সাধারণ সেই সর্দি, কাশি বা জ্বর আতঙ্কের আর এক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কাশছেন বা তাঁর সর্দি হয়েছে শুনলে আশপাশের মানুষও সতর্ক হয়ে পড়ছেন। করোনাতে আবার একটা উপসর্গ সাধারণ সর্দির সঙ্গে মিলে যায়। তা হল কোনও কিছুর স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া।
স্বাদ বা গন্ধ তো খুব সর্দি হলেও পাওয়া যায়না। তাহলে মানুষ বুঝবেন কীভাবে তাঁর করোনা না সাধারণ সর্দি? এই বিষয়টি সম্বন্ধে পরিস্কার হতে ব্রিটেনের ইস্ট অ্যাঙ্গলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা গবেষণা শুরু করেন। তাঁরা অবশেষে স্পষ্ট করে দিয়েছেন করোনায় স্বাদ-গন্ধ না পাওয়া আর সর্দির স্বাদ-গন্ধ না পাওয়ার মধ্যে যথেষ্ট ফারাক রয়েছে। সর্দি হলেও মুখে স্বাদ পাওয়া যায়না। নাক সর্দিতে বন্ধ থাকায় গন্ধ পাওয়া যায়না। কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে নাক বন্ধ নাও হতে পারে। নাক দিয়ে জল নাও গড়াতে পারে। তবুও গন্ধ পাওয়া মুশকিল হবে।
স্বাদের ক্ষেত্রেও যদি কারও করোনা হয় তিনি স্বাদ হারাবেন। তবে বিশেষ ২টি স্বাদই তিনি সবচেয়ে বেশি করে হারিয়ে ফেলবেন। একটা তেঁতো ও অন্যটি মিষ্টি। তিক্ত স্বাদ ও মিষ্টি স্বাদ তাঁরা পাবেন না। অন্য স্বাদ পেলেও কিছুটা পেতে পারেন। তবে এই ২টির স্বাদ হারিয়ে যাবে। এক্ষেত্রেও কেউ বুঝতে পারতে পারেন যে তাঁর করোনা না সাধারণ সর্দি। বেশ কয়েকজন রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এই বিষয়ে সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা।
করোনা হলে স্বাদ ও গন্ধ পাওয়া যাবেনা। এটা এখন প্রায় সকলেই জেনে গিয়েছেন। করোনার সাধারণ উপসর্গ হিসাবে এটা অনেকেরই জানা হয়ে গেছে। কিন্তু এটা পরিস্কার ছিলনা যে সাধারণ সর্দির স্বাদ-গন্ধ না পাওয়া আর করোনায় স্বাদ গন্ধ না পাওয়ার ফারাকটা ঠিক কী! এবার সেটা কিছুটা পরিস্কার করলেন গবেষকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা