Entertainment

শত্রুঘ্ন সিনহার একটি অভ্যাসের কথা ফাঁস করে দিলেন বলিউডের ব্যাড ম্যান

বলিউড তারকা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠা শত্রুঘ্ন সিনহার একটি অভ্যাসের কথা ফাঁস করে দিলেন বলিউডের ব্যাড ম্যান গুলশন গ্রোভার।

শত্রুঘ্ন সিনহা বলিউডে নিজের একটা আলাদা জায়গা তৈরি করতে পেরেছিলেন। তিনি নিজে একটা অধ্যায়। সেই বলিউড তারকার একটি অভ্যাসের কথা ফাঁস করে দিলেন বলিউডের প্রথমসারির ভিলেন চরিত্রাভিনেতা হিসাবে পরিচিত গুলশন গ্রোভার। যাঁকে বলিউডে ব্যাড ম্যান বলে মজা করা হয়।

সেই গুলশন গ্রোভার জানান, তাঁকে অনেক সিনেমা পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে শত্রুঘ্ন সিনহা অনেক সাহায্য করেছিলেন। তবে একবার একটা ঘটনা ঘটে। গুলশন একটি সিনেমায় অভিনয় করছেন। তার শ্যুটিং চলছে। সেই সময় গুলশন আরও একটি নতুন সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পান।

সেই সিনেমার প্রথম দিনের শ্যুটিং ছিল তাঁর। তার সঙ্গে এই সিনেমার শ্যুটিংটাও চালিয়ে যেতে হবে। গুলশন আগের দিনই পরিচালককে আলাদা করে বলেন তাঁকে যেন পরদিন দুপুর ২টোর মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি নতুন যে সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন সেখানে প্রথম দিনের শ্যুটিংয়ের জন্য ২ টোর মধ্যে এই ফ্লোর থেকে ছাড়া পাওয়া জরুরি।

শত্রুঘ্ন সিনহা তখন দেরি করে শ্যুটিং ফ্লোরে আসার জন্য বলিউডে পরিচিত। পরিচালক গুলশনকে বলেন যদি তিনি শত্রুঘ্ন সিনহাকে বেলা ১২টার মধ্যে আনতে পারেন তাহলে তাঁকে ২টোর মধ্যে ছেড়ে দিতে পরিচালকের আপত্তি নেই।

সেদিন রাতেই গুলশন হাজির হন তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ শত্রুঘ্ন সিনহার বাড়ি। তাঁকে দেখে শত্রুঘ্ন বেজায় খুশি। খাওয়াদাওয়ার পর গুলশন শত্রুঘ্ন সিনহাকে অনুরোধ করেন তিনি যেন পরদিন শ্যুটিংয়ে বেলা ১২টার মধ্যে ঢোকেন। তাহলে গুলশন ২টোর মধ্যে ছাড়া পাবেন।

শত্রুঘ্ন এটা শোনার পর তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে যান। পরদিন গুলশন প্রায় নিশ্চিত যে শত্রুঘ্ন তাঁকে যখন কথা দিয়েছেন তখন সঠিক সময়েই আসবেন। কিন্তু শত্রুঘ্ন সঠিক সময়ে আসেননি। শুধু আসেননি নয়, তারপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটতে থাকে। এমন করে শত্রুঘ্ন এসে পৌঁছন বিকেল সাড়ে ৪টে ৫টা নাগাদ।

নতুন ছবির শ্যুটিংয়ে যাওয়া লাটে ওঠে গুলশনের। সেদিন শত্রুঘ্ন আলাদা করে গুলশনকে ডেকে নেন। তারপর বলেন প্রযোজক গুলশনকে কাজে লাগাচ্ছেন। এতে পা না দিতে।

এই ঘটনার কথা একটি টিভি শোতে এসে বলেন গুলশন গ্রোভার। শত্রুঘ্ন সিনহা যে অনেক দেরি করে ফ্লোরে পৌঁছতেন তারই উদাহরণ দিতে এই কাহিনি জানান তিনি। তবে এটাও জানান তাঁর কাছে শত্রুঘ্ন বড় দাদার মতন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *