World

মানুষ খাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার অঙ্কের মাস্টারমশাই

মানুষ খাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে। কিছু হাড় পায় পুলিশ। সেই হাড়ের সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বার্লিন : পার্কে ঘোরার সময় কয়েকটি হাড় পড়ে থাকতে দেখেন সেখানে ঘুরতে আসা মানুষজন। কিসের হাড় তা না বুঝতে পারলেও তাঁরা দ্রুত পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে হাড়গুলি উদ্ধার করে।


দেখা যায় হাড়গুলি মানুষের। মহিলা নয়, কোনও পুরুষের হাড় সেগুলি। পুলিশকে অবাক করে হাড়ের পরিস্থিতি। হাড়গুলির গা পুরো চাঁচা ছিল। এতটুকু মাংস লেগে ছিল না হাড়গুলির গায়ে। কেউ যেন যত্ন করে মাংস হাড়ের ওপর থেকে বার করে নিয়েছে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই ব্যক্তির পরিচয়। তারপর তার সোশ্যাল সাইটের চ্যাট ধরে এক ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছয়। এছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশের হাতে আসে।



তথ্যের ভিত্তিতে তারা এক ৪১ বছর বয়সী ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছে তাকে গ্রেফতার করে। ৪১ বছরের ওই ব্যক্তি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। স্কুলে অঙ্ক ও রসায়ন পড়ায় সে।

যে ব্যক্তির হাড়গোড় উদ্ধার হয় তাঁর বয়স ৪৪ বছর। গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি উধাও হয়ে যান। তারপর থেকে তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়িয়েছে পুলিশ। কিন্তু কোনও হদিশ পায়নি।

হাড়গোড় উদ্ধার হওয়ার পর ফরেনসিক পরীক্ষার পর পুলিশ জানতে পারে যে ওই হাড় হারানো ব্যক্তি স্টেফারের। তারপরই পুলিশের কাছে অনেককিছু পরিস্কার হয়ে যায়।

যে অঙ্কের মাস্টারমশাইকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তার বাড়িতে পুলিশ বেশ কিছু সন্দেহজনক বস্তু পেয়েছে। যা দেখে পুলিশের ধারণা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে এই শিক্ষকই খেয়ে ফেলেছে।

পুলিশের সবচেয়ে বেশি খটকা লেগেছে একটি বিশাল ফ্রিজ দেখে। পুলিশ ধৃত শিক্ষকের নাম প্রকাশ করেনি। তবে পুলিশের দৃঢ় ধারণা ওই ব্যক্তিই খেয়েছে স্টেফারকে।

জার্মানির বার্লিনে এই ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে সেখানে। এর আগেও জার্মানিতে এক পুলিশকর্মীকে মানুষ খাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

এছাড়া ক্যানিবাল অফ রোটেনবার্গ-এর কথা তো অনেকেরই জানা। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর তাকে আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এখন সে জেলেই রয়েছে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button