পুরুষের প্রবেশ নিষেধ, পৃথিবীর একমাত্র দ্বীপ যেখানে প্রাণ খুলে আনন্দ করেন মহিলারা
প্রাণ খুলে আনন্দ, নিজের ইচ্ছেমত আনন্দ করার অধিকার কেবল পুরুষদের একার নয়, এটাই যেন একটা গোটা দ্বীপ বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

পৃথিবীর সবরকম আনন্দে কি কেবল পুরুষেরই একচেটিয়া অধিকার? নারীও তো অর্ধেক পৃথিবী। তাই তারাও তো তাদের মত করে প্রাণ খুলে জীবনটাকে উপভোগ করতেই পারে। যদিও তত্ত্বকথায় যা সহজে বলা যায়, বাস্তবের সামাজিক জীবনের নানা প্রতিবন্ধকতা সেখানেই বাধ সাধে। তবে পৃথিবীর একটা এমন টুকরো আছে যেখানে নারী তাঁর সবটুকু অবদমিত ইচ্ছাপূরণে মেতে উঠতে পারেন।
দ্বীপটির নাম সুপারশি আইল্যান্ড। একসময় ক্রিস্টিনা রউথ নামে এক নারী ফিনল্যান্ডে শুধুমাত্র নারীদের জন্যই এই দ্বীপটিকে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি এই দ্বীপটি কিনে সেটিকে সাজিয়ে তোলেন যাতে এই দ্বীপে এসে নারীরা উপযুক্ত পরিবেশে নিজের মত করে প্রাণ খুলে আনন্দ করতে পারেন। জীবনকে চুটিয়ে উপভোগ থেকে শুরু করে এলাহি খাওয়াদাওয়া, সবই হাতের সামনে পেয়ে যান তাঁরা।
সুপারশি আইল্যান্ডের ধারনাটি একইসঙ্গে সাহসী ও বিপ্লবাত্মক ছিল। খুব দ্রুত এটি গোটা বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। এটি নারীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান।
দ্বীপটিকে অনেকেই নারীর আত্মমুক্তির একটি প্রতীক হিসাবে দেখেন। এখানে এসে তাঁরা নতুনভাবে নিজেদের চিনতে পারেন। অন্তরের গভীরে ঘুমিয়ে থাকা মনোবাঞ্ছাগুলো এখানে এসে যেন নিমেষে পূরণ হয়ে যায়।
ক্রিস্টিনা রউথকে এই দ্বীপটি প্রথম চিনিয়েছিলেন তাঁর প্রেমিক। পরে সেটি কিনে নেন ক্রিস্টিনা। তারপর সেই দ্বীপকে সম্পূর্ণ পুরুষমুক্ত একটি অঞ্চলে পরিণত করেন। কেবলমাত্র নারীরা এখানে অর্থের বিনিময়ে তাঁদের মত করে কিছুদিন কাটাতে পারেন।
যেখানে তাঁরা চারধারের প্রকৃতিকে উপভোগ করার পাশাপাশি, নানা বিনোদন ও নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর করে তোলার উপায় হাতের কাছেই পেয়ে যান। সমাজ ও সম্পর্কের সব বন্ধনকে অতিক্রম করে কেবল নিজের সঙ্গে বাঁচার জন্য নারীদের জন্য এমন সুযোগ এ পৃথিবীর বুকে বোধহয় আর বড় একটা নেই।