Kolkata

যুবভারতীতে আজ ফুটবলের জয়গান

বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে যুবভারতীতে মুখোমুখি স্পেন-ইংল্যান্ড। দুই ইউরোপীয় দেশের কারও ঘরেই এখনও পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ট্রফি ঢোকেনি। তাই দু দলের সামনেই এখন সুবর্ণ সুযোগ। ফুটবলের শহরে সেই দ্বৈরথ চাক্ষুষ করতে এদিন বিকেল থেকেই স্টেডিয়ামমুখী ফুটবলপ্রেমীরা। দুই দল জানে দর্শকদের সমর্থন মাঠে আরও ভাল খেলার আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। ফলে এদিন মাঠ কার জন্য গলা ফাটাবে তা একটা বড় প্রশ্ন ছিল। বিকেলের পর যুবভারতীতে যাঁরা খেলা দেখতে ঢুকলেন তাঁদের গতিবিধি বুঝিয়ে দিল সন্ধের যুবভারতী এদিন গলা ফাটাবে স্পেনের সমর্থনে। কিন্তু কেন ইংল্যান্ড নয়?

এ প্রশ্নের উত্তরটায় কিন্তু বেশ মিল খুঁজে পাওয়া গেল। অনেক দর্শকই বলছেন ইংল্যান্ড ভারত শাসন করেছে। অনেক ব্রিটিশ অত্যাচারের সাক্ষী ভারতের স্বাধীনতার লড়াই। সেই ব্রিটিশদের জন্য তাঁরা গলা ফাটাতে রাজি নন। বরং স্পেনের পাশে থাকবেন তাঁরা। ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা তো এদিন আবার দলীয় পতাকা নিয়ে হাজির। তাঁদের দাবি, স্পেন আর তাদের পতাকার রঙ লাল-হলুদ। তাই ইস্টবেঙ্গলের পতাকা গায়েই চলবে স্পেনকে সমর্থন। এতে মোহনবাগান সমর্থকদের আক্ষেপের শেষ নেই। তাঁদের বক্তব্য ইস, যদি ফাইনালে পর্তুগাল উঠত, তবে তাঁরাও বিশ্বকাপের ফাইনালে নিজেদের দলীয় পতাকা গায়ে মাঠে গলা ফাটাতে পারতেন।


এদিন যুবভারতীমুখী ভিড় কিন্তু ছিল সুশৃঙ্খল। ছিল যথেষ্ট পুলিশি বন্দোবস্ত। বিক্রি হয়েছে মাথায় বাঁধার ব্যান্ড। দলীয় পতাকা। রঙ তুলি হাতেও অনেকের দেখা মিলেছে। যদি কোনও সমর্থক মুখে বা দেহের অন্য কোথাও দলীয় পতাকা আঁকতে চান, তবে তা এঁকে দিচ্ছেন কিছু অর্থের বিনিময়ে। তবে ফুটবলের শহর এদিন দেখিয়ে দিল আসলে শহরটা ফুটবলের জয়গান গাইতেই অভ্যস্ত। ফুটবলের জন্য গলা ফাটাতেই তাদের মাঠমুখী হওয়া। গিটার হাতে গানে গানে যুবভারতীর দরজায় সেকথা উদাত্ত কণ্ঠে জানিয়েও দিলেন একদল কলেজ পড়ুয়া। গিটার হাতে খালি গলায় তাঁরা শুনিয়ে গেলেন ফুটবলের জয়গান।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button