আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স

পিছিয়ে পড়েও অবশেষে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার টিকিট পাকা করে নিল ফ্রান্স। প্রথমার্ধের খেলা তখন সবে শুরু হয়েছে। খেলোয়াড়েরা নিজেদের শরীর গরম করছেন। এমন সময়ে মাত্র ২ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। তারপর প্রথমার্ধের পুরো সময়ে ফ্রান্স আপ্রাণ চেষ্টা করেও আয়ারল্যান্ডের গোলে বল ঢোকাতে পারেনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই বদলে যেতে থাকে ফ্রান্সের পরিকল্পনা। বদলে যেতে থাকে খেলোয়াড়দের আক্রমণের ধরণ। যার সুফল খুব কম সময়ের মধ্যেই পেয়েছে ফ্রান্স। ৫৭ মিনিটের মাথায় গ্রিজম্যানের শট আয়ারল্যান্ডের গোলে জড়াতেই খেলায় সমতা ফিরে আসে। তার ঠিক ৪ মিনিট পর ফের লক্ষ্যভেদ। এবারও গ্রিজম্যান। ৬১ মিনিটের মাথায় তাঁর করা গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এই ২-১-এর ব্যবধান খেলার শেষ পর্যন্ত বজায় ছিল। যদিও ফুটবল বিশেষজ্ঞদের একাংশ ফ্রান্সের খেলায় খুশি নন। তাঁদের মতে, আয়ারল্যান্ডের ডাফি ৬৬ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার পর বাকি সময়টা ১০জনে খেলে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু এই ১০ জনও ফ্রান্সের ১১ জনের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠছিল কখনও কখনও। এবার ইউরোতে গ্রুপ লিগ থেকেই খেলার মান নিয়ে প্রশ্নের মুখে ফ্রান্স। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালেও সেই সমস্যা বজায় রইল।