SciTech

মহাশূন্যের মানচিত্র আঁকতে অন্ধকারে ডুব দিল সত্যান্বেষী ইউক্লিড

মহাবিশ্বের অনন্ত অন্ধকারে আলো ছড়িয়ে দেওয়াই তার কাজ। সেই কাজেই সে উড়ে গেল মহাশূন্যের পানে। যেখানে শুধুই অন্ধকার আর অন্ধকার।

সে উড়ে গেল। মহাবিশ্বে যে অনন্ত অসীম অন্ধকার জগত বিরাজ করছে, সেই অন্ধকারে আলো ছড়াতে সে উড়ে গেল। তার কাজ হবে মিশকালো অন্ধকারে আলো ছড়ানো।

না সে কোনও শক্তিশালী আলো সঙ্গে করে পৃথিবী থেকে পাড়ি দেয়নি। সে পাড়ি দিয়েছে এমনিই কিন্তু নয়। সে পাড়ি দিয়েছে মহাবিশ্বের ২টি রহস্যভেদ করতে। যে রহস্য এখনও বিজ্ঞানীদের অবাক করে। বিজ্ঞানীরা জানার জন্য মুখিয়ে আছেন তার কারণ।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

মহাশূন্যের অন্ধকারে আবার চোখে ধরা দেয় আলো ঝলমলে নক্ষত্রেরা। নজর কাড়ে আশপাশের গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুরাও। কিন্তু তার বাইরে মহাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে শুধুই মিশকালো অন্ধকার। যার কোনও শেষ নেই।

এই অন্ধকার মহাবিশ্বের আলোকহীন বস্তু এবং অন্ধকার শক্তির উৎস বা অন্য কোনও কিছু মানুষের এখনও অজানা। বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বে এই অনন্ত অন্ধকারকে দেখতে পান ঠিকই, কিন্তু এই ২টি বিষয় তাঁদের অজানা।

এবার এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে বিজ্ঞানীরা মুখিয়ে আছেন। জানার কৌতূহল চেপে রাখতে পারছেন না। তাই সেকথা জানতে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইউক্লিডকে পাঠাল মহাশূন্যে। ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে সফলভাবেই ইউক্লিডকে মহাকাশে পৌঁছতে উড়ে গেল ফ্যালকন ৯ রকেট। যা ইলন মাস্ক-এর সংস্থা স্পেসএক্স-এর তৈরি।

মহাশূন্যে অত্যাধুনিক স্পেস টেলিস্কোপ ইউক্লিড কোটি কোটি নক্ষত্রপুঞ্জের আকার ও নড়াচড়া নজর করবে। ১ হাজার কোটি আলোকবর্ষের মধ্যে যা পড়বে তাই নাগালের মধ্যে পাবে এই অতিশক্তিধর টেলিস্কোপ।

এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সত্যান্বেষী ইউক্লিড খুঁজে বার করবে মহাকাশের অন্ধকারের উৎস। আলো ফেলবে মানুষের এই অনন্ত অন্ধকার সম্বন্ধে অন্ধকারে থাকা জ্ঞানে। ইউক্লিড যদি তার কাজে সফল হয় তাহলে মহাকাশের অনেক রহস্যই আর রহস্য থাকবেনা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *