Entertainment

মা হয়ে মহা ফাঁপরে পড়লেন তারকা নায়িকা, তদন্তের নির্দেশ

পর্দায় তাঁরা নায়ক নায়িকার অনেক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ২ জনই সুপারস্টার। তাঁরা আবার বাস্তব জীবনেও স্বামীস্ত্রী। তাঁরা বাবা মা হয়ে পড়লেন মহা ফাঁপরে।

তাঁরা যে যমজ সন্তানের বাবা মা হয়েছেন তা তাঁরা গত রবিবার সোশ্যাল মিডিয়া মারফত সকলকে জানান। তাঁরা যে বাবা মা হওয়ায় কতটা খুশি তাও ব্যক্ত করেন। কিন্তু সে খুশি রাতারাতি কার্যত উধাও হতে বসেছে।

বাবা মা হওয়ার আনন্দের মাঝে এসে পড়েছে তদন্তের নির্দেশ। আপাতত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হবে। পর্দার ২ সুপারস্টারকে বাস্তব জীবনে গাঁটছড়া বাঁধার পর এবার বাবা মা হয়ে এমন এক পরিস্থিতিতে যে পড়তে হবে তা বোধহয় তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি।

গত জুন মাসেই তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার ২ সুপারস্টার ভিগনেশ শিবন ও নয়নতারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ছোট্ট ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তাঁদের বিয়েটা হয়। যেখানে সিনেমা জগতের হাতে গোনা কয়েকজনই উপস্থিত ছিলেন।

সেই বিয়ের ৪ মাসের মধ্যেই তাঁরা যমজ সন্তানের বাবা মা হওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান। এখানেই উঠেছে প্রশ্ন। কারণ নয়নতারা এর মধ্যে শ্যুটিংও করেছেন। তাঁকে দেখে কখনওই সন্তানসম্ভবা মনে হয়নি। তাহলে যমজ সন্তান এল কোথা থেকে?

এখানে মনে করা হচ্ছে যে তাঁরা সারোগেসি অর্থাৎ গর্ভ ভাড়া নেওয়ার পথে হেঁটে বাবা মা হন। কিন্তু ভারতে সারোগেসি-র অনেক নিয়ম আছে। যা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রহ্মণ্যম।

ভারতে অর্থের বিনিময়ে গর্ভ ভাড়া দেওয়া নিষিদ্ধ। তাছাড়া যিনি গর্ভ ভাড়া দেবেন তাঁর বয়স ২১ থেকে ৩৬ বছরের মধ্যে হতে হয়। তাছাড়া তিনি তখনই সারোগেসির জন্য উপযুক্ত হবেন যখন তাঁর বিয়ে হয়ে যাবে।

শুধু বিয়ে হয়ে গেলেই হবেনা, তাঁর কমপক্ষে একটি সন্তান থাকতে হবে। তারপরই তিনি সারোগেসির জন্য উপযুক্ত প্রমাণ হবেন। ভারতের সারোগেসি আইনের সব নিয়ম পালন হয়েছে কিনা তা তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।

যদিও সারোগেসির মাধ্যমেই তাঁরা যমজ সন্তানের বাবা মা কিনা সে সম্বন্ধে কোনও আলোকপাত করেননি ভিগনেশ ও নয়নতারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *