World

১ বছরের পরিশ্রম শেষে উদ্ধার ৩৩০০ বছর পুরনো বার্তা লেখা সারকোফেগাস

যে পাথরের কফিনটি উদ্ধার হয়েছে তার বয়স ৩ হাজার ৩০০ বছর। সেই কফিন মোড়া ছিল নানা লেখায়। যেখানে মৃতকে রক্ষা করার বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া রয়েছে।

তখন ফারাও দ্বিতীয় রামেসিস রাজত্ব করছেন। তাঁর দরবারে যে অন্যতম প্রধান পারিষদরা ছিলেন তাঁদেরই একজনের একটি সারকোফেগাস বা পাথরের কফিন উদ্ধার করলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

যে পিরামিডের মধ্যে এটি ছিল সেখানে ঢেকাই ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। অনেক পরিশ্রম করে অবশেষে সেখানে প্রবেশ করতে সমর্থ হন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।


এটা সকলের জানা যে পিরামিডে প্রবেশ করাই একটা অন্যতম কঠিন কাজ। ফলে সেখানে প্রবেশ করে সারকোফেগাস পর্যন্ত পৌঁছনো সহজ কথা নয়।


গবেষকেরা ফারাও দ্বিতীয় রামেসিসের পিরামিড সংলগ্নই একটি গোপন স্থান থেকে এই কফিনটি উদ্ধার করেন। সেখানে সারকোফেগাসটি ঢাকা ছিল অনেক কিছু লেখায়।

মিশরের কায়রো শহরের দক্ষিণে সক্কারা নামে একটি জায়গায় উদ্ধার হয় কফিনটি। সেখানে এই আবিষ্কারকে একটা বড় আবিষ্কার হিসাবেই দেখা হচ্ছে।

যে লেখাগুলি ওই সারকোফেগাসের গায়ে দেখতে পাওয়া গেছে তাতে ওই পারিষদের মৃতদেহটিকে সযত্নে রক্ষা করার নানা বার্তাই দেওয়া রয়েছে।

টাহ-এম-উয়া নামে ওই পারিষদ দ্বিতীয় রামেসিসের কোষাগারের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর পিরামিডটি আগেই উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু তাতে প্রবেশ করা যাচ্ছিল না। প্রায় ১ বছর পরিশ্রম করে অবশেষে সেখানে প্রবেশের পথ খুঁজে পান প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

তাঁরা এটাও জানতে পেরেছেন যে ওই সারকোফেগাসটি ভাঙা। সেখানে বহুকাল আগেই কেউ প্রবেশ করেছিল। লুঠ করা হয়েছিল সম্পদ। এমনকি দেহটি মমি করা হলেও সেই মমি করার জিনিসপত্রও উধাও হয়ে গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।
Back to top button