বিশ্বের অন্যতম ধনী এই শহর একসময় ছিল মৎস্যজীবীদের গ্রাম
এ শহরের নাম একডাকে চেনে গোটা বিশ্ব। ভাবতেও পারা যায়না যে এই ধনীতম শহর একসময় ছিল মাছ ধরার গ্রাম।

অর্থের প্রাচুর্য কাকে বলে তা এ শহরকে দেখলে বোঝা যায়। সারা বিশ্ব এ শহরকে তার প্রাচুর্যের কারণেই একডাকে চেনে। এমন ঝাঁ চকচকে শহর পৃথিবীতে কমই আছে।
আজ যে শহর জুড়ে আকাশচুম্বী অট্টালিকার সারি। প্রচুর অফিস, হোটেল, শপিং মল, বিনোদনের হাজারো বন্দোবস্ত, সেই বর্ধিষ্ণু শহর কিন্তু আদপে ছিল একটা মৎস্যজীবীদের গ্রাম। যেখানে বাস করত বানি ইয়াস নামে এক জনজাতি। যাদের জীবিকা ছিল সমুদ্রে মাছ ধরা।
এছাড়া আরও একটি কাজ করতেন ওই জনজাতির মানুষরা। সমুদ্র থেকে মুক্তো তুলে আনতেন এই মানুষগুলি। এখানে সমুদ্রের জলে প্রচুর ঝিনুক পাওয়া যেত। যাদের থেকে মুক্তো সংগ্রহ করে তা বেচতেন এই গ্রামবাসীরা।
তখন এ এক প্রত্যন্ত মৎস্যজীবীদের গ্রাম ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। চারধারে ছিল বালি আর বালি। সেই একটা অতি মলিন মৎস্যজীবীদের গ্রাম ক্রমে হয়ে ওঠে ধনী মানুষদের শহর।
১৮৮৩ সালে যে গ্রামের জন্ম হয় মৎস্যজীবী জনজাতির হাত ধরে, সেখানে ক্রমে একটি বন্দর তৈরি হয়। উন্নতি করতে থাকে ওই গ্রাম। গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের রূপ নেওয়ার পর সেটি হয়ে ওঠে গ্রাম থেকে নগর। তারপর সেই নগর একসময় রূপ নেয় এক শহরের।
যাকে এখন পৃথিবী চেনে দুবাই বলে। পৃথিবীর উচ্চতম অট্টালিকা বুর্জ খলিফার এই বর্ধিষ্ণু শহর আদপে ছিল একটি ছোট্ট মৎস্যজীবীদের গ্রাম। যা হয়তো আজ অনেকেই জানলে অবাক হয়ে যাবেন।