পায়ে একটা হোঁচট পাইয়ে দিল গুপ্তধন, খুলে গেল ভাগ্য
পাহাড়ে তো অনেকেই চড়েন। ট্রেক করেও পৌঁছে যান উঁচু পাহাড়ি জায়গায়। সেই মনের খিদে মেটাতে গিয়ে এক জায়গায় একটা হোঁচট বদলে দিল জীবন।

পাহাড়ের গায়ে প্রচুর সবুজ। ঘন জঙ্গল হয়ে আছে পাহাড়ের ঢাল জুড়ে। সেই পাহাড়ি রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিলেন ২ জন। পাহাড়ি পথ ধরে এভাবে উঁচুতে উঠতে তাঁরা ভালবাসেন। পাহাড় যখন, তখন যাওয়ার পথ তো আর পিচ ঢালা রাস্তার মত হবেনা। বরং হবে পাথুরে।
সেখানেই একটা জায়গায় হোঁচট খান একজন। কিসে হোঁচট লাগল সেটা দেখতে গিয়ে তিনি দেখেন ওখানে পাথরের খাঁজে একটা কিছু চকচক করছে। ভাল করে দেখতে গিয়ে দেখেন অ্যালুমিনিয়ামের ঘড়ার মত কিছু রয়েছে। সেটি টেনে বার করেন ২ জনে।
তারপর তার মাথার ঢাকনা খুলতেই চমকে যান তাঁরা। এ তো গুপ্তধন! ওর মধ্যে রয়েছে ৫৯৮টি সোনার মুদ্রা। এখানেই শেষ নয়, এই ঘড়া যেখানে পাওয়া যায় তার থেকে কয়েক ফুট দূরেই আরও একটি ধাতব বাক্সের দেখা পান তাঁরা। সেটি খুলতে দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে গয়না, চিরুনি, চেন, সিগারেটের ব্যাগ এবং আরও কিছু জিনিস।
চেক প্রজাতন্ত্রের ক্রোনোজ পাহাড়ের ঢাল বেয়ে চড়ার সময় এই গুপ্তধনের সন্ধান পান ২ ব্যক্তি। পরে পূর্ব বোহেমিয়া-র একটি মিউজিয়াম সব জিনিস তাদের জিম্মায় নেয়।
মিউজিয়ামের তরফে জানানো হয় ঘটনাটি ঘটেছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে। তবে তা সর্বসাধারণকে জানানো হল এখন। এতদিন ধরে জিনিসগুলিকে পরীক্ষার কাজ চলছিল।
ঠিক কারা কবে এগুলি এখানে লুকিয়ে রেখে গিয়েছিল তা এখনও পরিস্কার নয়। তবে এটা বিশেষজ্ঞেরা জানতে পেরেছেন যে এই অ্যালুমিনিয়ামের ঘড়া বা ধাতব বাক্স এখানে লুকোনো হয়েছিল ১৯২১ সালের কাছাকাছি সময়ে।