SciTech

আশপাশে কি গরম বেড়েছে, ঝিঁঝিঁর ডাকে কান পাতলে সহজেই মেলে উত্তর

ঝিঁঝিঁপোকার ডাক যাঁরা কান খাড়া করে শুনে অভ্যস্ত তাঁরা এলাকায় তাপমাত্রা সম্বন্ধে বলে দিতে পারেন স্রেফ এই ডাক শুনে। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট তাঁদের লাগেনা।

গরমকালে অনেকেই জানার চেষ্টা করেন তিনি যেখানে থাকেন সেখানে সেদিন তাপমাত্রার হাল কি। গরম বাড়ল না কমল। এসব জানার জন্য আবহাওয়া দফতরের রিপোর্টে নজর রাখতে হয়।

কিন্তু ধরা যাক আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট জানার উপায় তখন নেই অথবা যেখানে রয়েছেন সেখানে আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট এমন চাইলেই পাওয়া সম্ভব নয়। সেখানেও কিন্তু সেদিনের পারদ পরিস্থিতি জানা খুব শক্ত নয়। কেবল ঝিঁঝিঁপোকার ডাকে নজর রাখতে হয়।

একটি প্রচলিত হিসাব বলছে একটি ঝিঁঝিঁপোকা ২৫ সেকেন্ডে কতবার ডাকল তা প্রথমে গুনে নিতে হবে। এবার সেই সংখ্যাটাকে ৩ দিয়ে ভাগ করতে হবে।

এবার যে সংখ্যাটা পাওয়া যাবে তার সঙ্গে ৪ যোগ করতে হবে। ৪ যোগ করার পর যে সংখ্যাটা পাওয়া যাবে ওই অঞ্চলে তখন সেলসিয়াসে সেটাই তাপমাত্রার পারদ।

এ হিসাবের মধ্যে যদি কেউ নাও ঢুকতে চান, তাহলেও নজর রাখতে হবে ঝিঁঝিঁপোকার ডাক দ্রুত হচ্ছে কিনা। গরম যত বাড়বে ঝিঁঝিঁপোকার ডাক ততই দ্রুত হবে। ফলে এটা বুঝতে অসুবিধা হবেনা যে সেখানে গরম বাড়ল কিনা।

প্রসঙ্গত ঝিঁঝিঁপোকারা শীতল রক্তের প্রাণি। তাই শীতের রাতে ঝিঁঝিঁপোকার ডাক প্রায় শুনতেই পাওয়া যায়না। যত গরম বাড়ে ঝিঁঝিঁরা ততই চনমনে হয়ে ওঠে। কাজে বেশি করে মন দেয়।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *