World

ধর্ষক নয় প্রমাণ করতে আদালতে পুরুষাঙ্গ বের করে দেখাল অভিযুক্ত

Published by
News Desk

ধর্ষককে সহজে চিহ্নিত করার উপায় কি? অবশ্যই তার পুরুষাঙ্গ। অন্তত এক মার্কিন নির্যাতিতা মহিলার এমনটাই দাবি। যে তাঁকে ধর্ষণ করেছে তার পুরুষাঙ্গের রঙই প্রমাণ। বিচারকদের এমনটাই জানান ধর্ষিতা। তিনি নিশ্চিত ছিলেন, ধর্ষক সেই, যার শরীরের ত্বকের থেকে উজ্জ্বল রঙা তার পুরুষাঙ্গ। নিগৃহীতার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৪ সালে ডেসমন্ড জেমস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে গত ৪ বছর ধরে মামলা চলছে মার্কিন দেশের কানেকটিকাটের নিউ হেভেন আদালতে।

গত মে মাসে সেই মামলার শুনানি ছিল। প্রতিবারের মত এবারেও ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবককে নিয়ে আসা হয় আদালতে। এতদিন ধরে অভিযোগকারিনীর একই অভিযোগ শুনে সম্ভবত হয়রান হয়ে পড়েছিল ডেসমন্ড। এবারে তাই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতেই ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায় তার।

আদালত ভর্তি লোক। বিচারকের সামনে নির্যাতিতা ও অভিযুক্তের আইনজীবীরা তাঁদের মত করে সওয়াল করছিলেন। আচমকা সওয়াল জবাবের মাঝখানে বিচারকদের কাছে প্যান্ট খোলার আবেদন জানায় অভিযুক্ত। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সর্বসমক্ষে পুরুষাঙ্গ খুলে দেখানোর আর্জি জানায় বছর ২৬-এর যুবক। যুবকের পুরুষাঙ্গ দেখানোর আবেদন গ্রাহ্য করেন বিচারকরা। ভরা আদালতে ওই যুবক তার পুরুষাঙ্গ প্যান্টের ভেতর থেকে বার করে দেখায়।

অভিযোগকারিণীর দাবি যে কত বড় মিথ্যা তা প্রমাণ করাই ছিল তার উদ্দেশ্য। বাস্তবে দেখা যায় যুবকের পুরুষাঙ্গের ত্বকীয় রঙ তার গায়ের চামড়ার রঙের থেকে কম উজ্জ্বল। অতএব নির্যাতিতার অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন অভিযুক্তের উকিল। তিনি আদালতের কাছে তাঁর মক্কেলের মুক্তির আবেদন জানান।

অভিযোগকারিনীর আইনজীবী পাল্টা সওয়াল করেন যে তাঁর মক্কেলের সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ২০১২ সালে। গত ৬ বছরে একাধিক কারণে অভিযুক্তের পুরুষাঙ্গের রঙ কালো হয়ে গিয়ে থাকতে পারে। এছাড়াও ঘটনার সময় মহিলার মানসিক অবস্থা ও সেই মুহুর্তে তিনি ঠিক কী দেখেছিলেন তাও একটা প্রশ্নের দাবি রাখে। তাই শুধুমাত্র পুরুষাঙ্গের রঙ দেখে অভিযুক্তকে রেহাই দেওয়া ঠিক হবে না বলে পাল্টা দাবি করেন নির্যাতিতার আইনজীবী।

তবে শেষ পর্যন্ত আদালত ডেসমন্ড জেমসের পক্ষেই রায় দেয়। ধর্ষণের অভিযোগ থেকে তাকে রেহাই দেয় আদালত। তবে ডেসমন্ড অন্য একটি অপরাধের ঘটনায় ৬৫ বছরের জন্য জেল খাটছে। তাই গারদের বাইরে সে আর বার হতে পারেনি।

Share
Published by
News Desk