SciTech

ঘন জঙ্গলে বিরল প্রজাতির মশার হদিশ, শুধু মধু খায় বিশ্বের বৃহত্তম মশা

চেহারায় রাক্ষুসে হলেও স্বভাবে নিরীহ। উড়তে গিয়ে পদে পদে হোঁচট খেতে হয় এই মশককুলের দৈত্যদের। পর্বত সংলগ্ন অরণ্যে পাওয়া গেল এমন মশার খোঁজ।

ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া। এই সব ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর রোগের প্রাদুর্ভাবের মূলে একজন। ধূসর কালো রঙের এক ক্ষুদ্র পতঙ্গ। যার নাম মশা।

রক্তচোষা এই পতঙ্গের অস্ত্র বিষাক্ত হুল। হুলের সাহায্যে মানবদেহ থেকে রক্ত চুষে পেট ভরায় তারা। একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে রোগের জীবাণু বহন করে বেড়ায়।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তবে সব মশার প্রিয় খাবার কিন্তু মোটেই রক্ত নয়। এই দুনিয়ায় এমন মশাও আছে, যারা চেহারায় রাক্ষুসে হলেও স্বভাবে বড়ই নিরীহ। এরকমই এক পেল্লাই চেহারার নিরামিষাশী মশার খোঁজ পেলেন প্রাণিবিজ্ঞানীরা।

এরা রক্ত নয়, হুল ফুটিয়ে বনের মৌমাছির চাক থেকে মিষ্টি মধু খেতে সিদ্ধহস্ত। এমনকি রক্তচোষা মশার মত একেবারেই বনবন করে কানের কাছে পাখনা নাড়াতে পারেনা। বরং ভারী শরীরের জন্য উড়তে গিয়ে পদে পদে হোঁচট খেতে হয় এই মশককুলের দৈত্যদের।

সম্প্রতি চিনের সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী ছাংতুর চিংখংচু পর্বত সংলগ্ন অরণ্য অঞ্চলে পাওয়া গেল এমন মধুলোভী দুর্বল মশার খোঁজ।

প্রায় ১১ সেন্টিমিটার আয়তনের পাখনাওয়ালা সেই মশার আক্ষরিক নাম ‘ক্রেন ফ্লাই’। এই বিশ্বে হাজার রকমের মশার প্রজাতির মধ্যে বৃহত্তম হলোরুসিয়া মিকাডো প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত এই মশা।

এই প্রজাতির মশার ফিনফিনে ডানার দৈর্ঘ্য হয় প্রায় ৮ সেন্টিমিটার। ১৮৭৬ সালে ব্রিটিশ পতঙ্গবিদ জন ওবাডায়া ওয়েস্টারউড জাপানে এই বিশালাকার প্রজাতির মশার প্রথম সন্ধান পান। এতগুলো বছর পর ফের চিনের ঘন জঙ্গলে বিরল প্রজাতির এই মশার ঝাঁকের হদিশ পেলেন পতঙ্গ বিজ্ঞানী ঝাও লি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *