World

পুরনো ধারনাকে কাচার কাজে লাগাতে গিয়ে বেকায়দায় পোশাক সংস্থা, সমালোচনার ঝড়

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারা একটা বিরাট বড় শিক্ষা। অনেকেই সেটা পারেন না। একটি পুরনো ধারণাকে পরামর্শরূপে কাজে লাগাতে গিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়ল এক সংস্থা।

নামজাদা একটি বস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থা। যারা মূলত পুরুষদের জন্যই পোশাক তৈরি করে। সেই সংস্থা তাদের ধ্যানধারণার জন্য খবরের শিরোনামে এসেছে। ব্র্যান্ডের অগ্রগতির জন্য নতুনত্বের দিকে ঝুঁকতে গিয়ে নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়ুল মেরেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

যে কোনও বস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থাই তৈরি করা পোশাকে পোশাক পরিস্কারের পদ্ধতি উল্লেখ করে থাকে। এই ব্র্যান্ডের পোশাকে কিন্তু সেই নির্দেশ নেই। উল্টে ২টি কিউআর কোড দেওয়া রয়েছে। যার দ্বারা সমাজ মাধ্যমে কোম্পানির সঙ্গে সংযুক্ত থাকা সম্ভব। আর আছে একটি লেখা। যেখানে কাচার পদ্ধতিটি বাড়ির মহিলাদের কাছে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চিনের জিয়াংসুর একটি বস্ত্র বিপণির তৈরি পোশাকে ইংরেজি এবং চিনা ভাষায় লেখা রয়েছে বাড়ির মহিলারাই কাপড় কাচার সঠিক পদ্ধতিটি জানেন। এখানেই গোলমালের সূত্রপাত। সমালোচনার ঝড়ের মুখে পড়েছে সংস্থা। ওই পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা ভুলে গেছে যে এখন আর নারী পুরুষের কাজের কোনও ভেদাভেদ নেই। এমনই মতামত জানাচ্ছেন অনেকে।

একটা সময় ছিল যখন মহিলারা বাড়িতে কাচাকাচির বিষয়টি সামলাতেন। ফলে তাঁরা জানতেন কোন পোশাক কীভাবে কাচতে হয়। কিন্তু এখন যুগ পাল্টেছে। মহিলারা এখন সমানতালে ঘর ও বাইরের কাজ সামলান। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সংস্থাটির পোশাক কাচার পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শ বৈষম্যমূলক বলেই মনে করছেন অনেকে।

বাড়ির মহিলারা কীভাবে কাচতে হবে জানেন বলে কাচার পদ্ধতি সম্বন্ধে পরামর্শ দিয়ে যে তারা ভুল করেছে সেটা বুঝে সংস্থার তরফে ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে। সংস্থার দাবি, অনেকেই পোশাক পরিস্কারের নির্দেশিকা ঠিকভাবে পড়েন না। ফলে অযত্নের কারণে পোশাক নষ্ট হয়ে যায়।

তারা মনে করে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি যত্নশীল। তাই তারা আসলে মহিলাদের কৃতিত্বই দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের ব্র্যান্ডের সেই ভাবনাকে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে না পারার অক্ষমতার জন্য কথাটির অর্থ বদলে গেছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *