কাজকর্ম ছেড়ে গুহায় থাকেন যুবক, বিয়ে তাঁর কাছে সময় নষ্ট, কি খান তিনি
কাজ করতেন। রোজগার মন্দ ছিলনা। সেসব তিনি আচমকা ছেড়ে দেন কেবল গুহায় থাকবেন বলে। নিজের খাবার জোগাড় করেন অন্য উপায়ে।

তিনি একটি ক্যাব চালাতেন। চালক হিসাবে এই কাজ করে দিনের শেষে রোজগার কম ছিলনা। এছাড়া জমিজমা, কিছু অন্য সম্পত্তিও ছিল। অবশ্য কিছু ধার বাকিও ছিল। যা কাজ করে শোধও করছিলেন তিনি। কিন্তু মনের পরিবর্তন এল ৩৫ বছরে।
স্বপ্নটা মনের কোণায় লুকিয়ে ছিলই। তা বাস্তব করতে ৩৫ বছর বয়সে আচমকা ছেড়ে দেন কাজ করা। যে ধার ছিল তা শোধ করতে তাঁর আত্মীয়রা তাঁরই জমির কিছু অংশ, অন্য সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। তাতে অবশ্য তিনি কিছু মনে করেননি।
কারণ তিনি ততদিনে নিজের স্বপ্নের বাসস্থান ও জীবন বেছে নিয়েছেন। গ্রামের এক ব্যক্তিকে নিজের জমির কিছুটা দিয়ে বিনিময়ে একটি গুহায় থাকার ব্যবস্থা করে ফেলেন তিনি। ছোট গুহাটিকে থাকার যোগ্য করে তুলতে কিঞ্চিত জমানো পুঁজি খরচও করেন।
তারপর শুরু হয় একা গুহায় থাকা। স্বাভাবিক জীবন ছেড়ে গুহাবাসী ওই ব্যক্তির যেটুকু জমি অবশিষ্ট রয়েছে সেখানে তিনি চাষাবাদ করেন। যা চাষ করেন সেটাই তাঁর খাবারের সংস্থান।
পকেটে এখনও যেটুকু অর্থ জমানো রয়েছে তা দিয়ে বাকি অল্প খরচ সামাল দেন। সারাদিন গুহায় থাকা, চাষ করা ও বই পড়ে কাটিয়ে দেন ওই ব্যক্তি।
আত্মীয়রা বিয়ে করার কথা বলতে তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন বিয়ে করা আর সময় নষ্ট করা তাঁর কাছে এক ব্যাপার। তাই বিয়ে তিনি করবেননা। একা এভাবেই গুহায় বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবেন।
একটা সাদামাটা সরল এই জীবনই তিনি চেয়েছিলেন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে এই খবরটি প্রকাশিত হয়। চিনের সিচুয়ানের বাসিন্দা মিন হেংকাই-এর কাজকর্ম ছেড়ে, সমাজ ছেড়ে, বিয়ে না করে এভাবে গুহাবাসী হয়ে যাওয়া চিনের নানা সংবাদমাধ্যমে রীতিমত নজর কাড়া খবরে পরিণত হয়েছে।