চিনের প্রাচীরকে রোদ, জল থেকে কে রক্ষা করছে সে রহস্যের কিনারা হল
চিনের প্রাচীর শত শত বছর ধরে অটুট অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। কীভাবে রোদ, জল, বৃষ্টি থেকে বাঁচছে এই ঐতিহাসিক প্রাচীর। এর পিছনের রয়েছে একটি বিশেষ ত্বকের রহস্য।
বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্যের তালিকায় চিনের প্রাচীর অবশ্যই উল্লেখযোগ্য। শত শত বছর ধরে এই প্রাচীর অটুট হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই অতি বিশাল কর্মকাণ্ড যেমন বহু বছরের পরিশ্রমে তৈরি হয়েছিল, তেমনই যা তৈরি হয়েছিল তা আজও তার গরিমা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে।
খোলা আকাশের নিচে চিনের গরম, বর্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবই সে সামলে চলেছে অবলীলায়। তবু চিনের প্রাচীরের দেওয়াল নষ্ট হয়না। তা যেমন ছিল প্রায় তেমনই থেকে যায়। কীভাবে তা সম্ভব হচ্ছে?
এখানে মনে হতেই পারে যে তার রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে। যদি তাই হয় তাহলেও তো তা কিছু বছর হচ্ছে। তার আগে কীভাবে তা নিজের জায়গায় একই রয়ে গিয়েছিল বছরের পর বছর। সে রহস্যের উন্মোচন হল এবার।
২ হাজার ২০০ বছর পুরনো চিনের প্রাচীর নিশ্চয়ই এমনভাবে তৈরি নয় যে তা প্রাকৃতিক ক্ষয় থেকে নিজেকে এতকাল রক্ষা করতে পারবে। তবু তা রক্ষিত হয়েছে। যার পিছনে রয়েছে শ্যাওলা ও বিশেষ ধরনের ছত্রাক। এরাই এতকাল ধরে ক্ষয় থেকে রক্ষা করেছে চিনের প্রাচীরকে।
বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে চিনের প্রাচীরের অনেক জায়গায় পাতলা শ্যাওলা ছত্রাকের চাদর রয়েছে। যাকে বলা হয় বায়োক্রাস্ট। এটাই এতকাল ধরে সবার অলক্ষ্যে রক্ষা করে এসেছে চিনের প্রাচীরকে।
আগামী দিনেও এরা এই ঐতিহাসিক প্রাচীরকে রক্ষা করে চলবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। একদল গবেষক গবেষণা চালিয়ে চিনের প্রাচীরের এই হাজার হাজার বছরেও অক্ষত থাকার রহস্য উন্মোচন করেছেন।













