SciTech

নতুন ইঞ্জিনে কেন মুরগি ছোঁড়া হয়, চিকেন গান জিনিসটি কি

শুনে অবাক লাগতে পারে, কিন্তু একটি নতুন ইঞ্জিনে মুরগি ছোঁড়ার রীতি কিন্তু বহুদিনের। এটা কি শুধুই একটা প্রচলিত রীতি?

বিমানের ইঞ্জিন বিমানের হৃদপিণ্ড। বিমানে একাধিক ইঞ্জিন থাকে। যাতে একটি ইঞ্জিন যদি আকাশে খারাপও হয়ে যায়, দ্বিতীয় ইঞ্জিন বিমানকে সচল রাখবে। কোনও ক্ষতি হতে দেবেনা। এই বিমানের ইঞ্জিনে কিন্তু মুরগি ছোঁড়ার রীতি রয়েছে। এ রীতি আগের নয়।

১৯৫০ সাল থেকে এই রীতি চলছে। কিন্তু মুরগি ছোঁড়া হয় কেন? ইঞ্জিনের সঙ্গে মুরগির কি সম্পর্ক? আসলে বিমান যখন আকাশে ওড়ে তখন আকাশে ভেসে বেড়ানো পাখিদের মধ্যে কয়েকটির বিমানের ইঞ্জিনের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনটা বহুবার হয়েছেও।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ইঞ্জিনে পাখি ধাক্কা দিলে অনেক সময় ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যেত। এটা দূর করতে ইঞ্জিন তৈরির সময়ই জ্যান্ত কোনও পাখিকে ইঞ্জিনে ছুঁড়ে পরীক্ষা করার কথা ভাবা হয়। যাতে তা পরীক্ষা করা যায়।

পাখির সঙ্গে সংঘর্ষে ইঞ্জিনের ক্ষতি হবে কিনা তা জানা যেত। কিন্তু তাতে পাখিটির জীবন ওখানেই শেষ হয়ে যেত। এটা কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়।

ইঞ্জিন পরীক্ষার জন্য পাখির প্রাণ নেওয়া যেতে পারেনা। তাই ১৯৫০ সালে বিমানের ইঞ্জিন পরীক্ষার জন্য বিকল্প রাস্তা হিসাবে চিকেন গান আবিষ্কার করা হয়।

ইঞ্জিন তৈরির পর তা পরীক্ষা করার জন্য একটি কামানের মত বস্তু দিয়ে প্রাণ হারানো একটি মুরগিকে তোপের মত ইঞ্জিনের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হত। এটাই চিকেন গান।

প্রাণহীন মুরগিটি তোপের মত উড়ে গিয়ে পড়ত ইঞ্জিনের ওপর। যেন কোনও জীবন্ত পাখিই উড়ে গিয়ে লাগল ইঞ্জিনে। এতে ইঞ্জিনের কোনও ক্ষতি হল কি না পরীক্ষা করা হয়ে গেল। সবদিক থেকে নিশ্চিন্ত হয়ে তবেই সেই ইঞ্জিন বিমানে ব্যবহারে সবুজ সংকেত পায়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *