World

পুলিশে ফোন করে পালাল বাঁদর

চিড়িয়াখানা থেকে একটি ফোন আসে পুলিশের কাছে। আপৎকালীন ফোন নম্বরে ফোন। তাই পুলিশ দ্রুত ছোটে। কিন্তু চিড়িয়াখানায় গিয়ে জানতে পারে সেখান থেকে কেউ ফোন করেননি।

চিড়িয়াখানা থেকেই ফোনটা এসেছিল পুলিশের কাছে। এটা পুলিশ নিশ্চিত। কারণ যে নম্বর থেকে তাদের আপৎকালীন নম্বরে ফোন আসে সেটি চিড়িয়াখানার। যদিও ফোন ধরা হলেও কেউ ও প্রান্ত থেকে কিছু বলেনি। তবু আপৎকালীন নম্বর থেকে ফোন আসায় কোনও ঝুঁকি না নিয়ে পুলিশ দ্রুত হাজির হয় চিড়িয়াখানায়।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ পুলিশ দেখে কিছুটা অবাক হয়। তারা তো ফোন করেনি। তাহলে পুলিশ কেন? পুলিশও সকলকে জিজ্ঞেস করার পর নিশ্চিত হয় যে চিড়িয়াখানা থেকে কেউ ফোন করেননি। অথচ তাদের কাছে ফোন গেছে। পুলিশ আধিকারিকরা স্থির করেন তাঁরা এই রহস্যভেদ করেই থামবেন।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এই রহস্যভেদে নেমে পুলিশ অবশেষে যা জানতে পারে তাতে তাদের মাথায় হাত। চিড়িয়াখানাটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গলফ কোর্টে যে ধরনের ছোট ছোট গাড়ি ব্যবহার হয় তেমনই ব্যবহার হয় ক্যালিফোর্নিয়ার সান লুই ওবিসপো কাউন্টি-র একটি চিড়িয়াখানায়। সেই গাড়িতেই রাখা ছিল চিড়িয়াখানার মোবাইল ফোনটি।

গাড়িটির কাছে কেউ না থাকায় সেটি দেখতে পেয়ে তুলে নিয়েছিল চিড়িয়াখানার একটি কাপুচিন বাঁদর। এই কাপুচিন বাঁদরদের স্বভাব হল কিছু হাতে পেলেই তা টিপে দেখা। সেটাই সে ওই মোবাইলটির সঙ্গেও করে।

তারপর সেটি যথাস্থানে রেখে পালিয়ে যায়। আর তাতেই ফোন চলে যায় সোজা পুলিশের কাছে। পুরো বিষয়টি জানার পর পুলিশ ফিরে যায়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *