Business

বাসমতী ভাগাভাগি করে নিল ভারত পাকিস্তান

বাসমতী চাল এবার নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিল ভারত ও পাকিস্তান। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পুরনো ঝগড়ার এটিও ছিল একটি ইস্যু।

বাসমতী চালের বড় বাজার রয়েছে ইউরোপে। এতদিন এই বাসমতী চাল আসলে কার জমির আদি ফসল তা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ঝগড়া ছিল।

এ ঝগড়া ঐতিহাসিক। কারণ এতদিন ধরে এর কোনও সমাধান সূত্র বার হয়নি। এবার সেই পুরনো ঝগড়ায় দাঁড়ি পড়ল। অন্তত বাসমতী চালকে কেন্দ্র করে ঝগড়া আর রইল না।


ভারত ও পাকিস্তান, এই ২ দেশের বাসমতী চাল রফতানি কারকরা নিজেদের মধ্যে একটা রফায় এসেছেন। তাঁরা স্থির করেছেন আর ঝগড়া নয়, প্রকৃতির দান এই বাসমতী চালের ওপর ২ দেশেরই অধিকার রয়েছে।

কাশ্মীর জুড়ে ভারত পাকিস্তান সীমান্তের ২ প্রান্তের মাটি বাসমতী চাল উৎপাদনে উৎকৃষ্ট। ফলে এখানে ফলনও ভাল হয়। ২ দেশের লড়াই ছিল বাসমতী চালের আদি ফলন কার এই নিয়ে।


বাসমতী চালের বিশাল বাজার রয়েছে ইউরোপে। ভারত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে দাবি জানিয়েছিল বাসমতীর ওপর জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই ট্যাগের জন্য। এর বিরোধিতা করে পাকিস্তান।

এবার তাই এই ঝগড়ায় না গিয়ে এই রফা সূত্র বার করে ব্যবসায় জোর দেওয়াই শ্রেয় মনে করলেন ভারত ও পাকিস্তানের রফতানিকারকরা।

অন্যদিকে ভারত ও পাকিস্তান ২ তরফ থেকেই বাসমতী চাল কিনতে আগ্রহী ইইউ-র ক্রেতারা। ভারতের বাসমতী রফতানি সংগঠনের ডিরেক্টরও মনে করছেন ২ দেশেরই উচিত বাসমতীকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা চালানো। ২ দেশেই যথেষ্ট বাসমতী চাল উৎপাদিত হয়। ফলে ২ দেশেরই দায়িত্ব বাসমতীর এই হেরিটেজকে রক্ষা করা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button