World

উজ্জ্বল কমলা লাল রংয়ের এই হ্রদ রং বদলে সবুজও হয়ে যায়

এই হ্রদটিকে দূর থেকে দেখলে মনে হবেনা যে এটি সত্যিই রয়েছে। তার রং দেখে মনে হবে ওটা সাজানো কিছু। এই হ্রদেই নিশ্চিন্তে বসবাস করে বিশ্বের অন্যতম চর্চিত পাখিরা।

হ্রদটি দূর থেকে এতটাই সুন্দর যে চোখ ফেরানো মুশকিল। নোনা জলের হ্রদ এটি। তবে হ্রদের বিশেষত্ব হল তার চোখ ধাঁধানো রং। লাল আর কমলা রংয়ে মুখ ঢাকা থাকে হ্রদের জলের। আশপাশে পাহাড়, প্রান্ত। তার মাঝে উজ্জ্বল লাল আর কমলা রং চোখ আটকে দিতে বাধ্য।

অপরূপ প্রকৃতির মাঝে ততটাই অপরূপ এই হ্রদ। সেই অপরূপ হ্রদের আবার শোভা বাড়ায় বড়সড় চেহারার বিশ্বের অন্যতম চর্চিত পাখিরা। ফ্লেমিঙ্গো-রা এ হ্রদে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ায়।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

হ্রদের জলের রংয়ের শোভা কিন্তু নির্ভর করে শৈবালের ওপর। এই শৈবালরাই জলের রংকে এমন অভিভূত করার মত রূপ প্রদান করেছে।

এই শৈবালরাই আবার ফ্লেমিঙ্গোদের এখানে বংশবৃদ্ধির প্রধান কারণ। কারণ ফ্লেমিঙ্গোদের প্রধান খাবার হল জলে থাকা এই অফুরন্ত শৈবাল।

বলিভিয়ার দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে চিলি সীমান্ত লাগোয়া হ্রদটির নাম ল্যাগুনা কোলোরাডা। এই হ্রদটির আরও এক বিশেষত্ব হল জলে নুনের মাত্রা কমা বাড়ার ওপর কিছু ক্ষেত্রে বদলে যায় এখানকার জলের রং। কারণ বদলে যায় শৈবাল। তখন আবার সবুজ রংয়ের শৈবালে ভরে যায় হ্রদ। জলের রং লাল কমলা থেকে বদলে যায় সবুজে।

এখন দক্ষিণ আমেরিকার এই চোখ জুড়োনো নোনা জলের হ্রদ ৬ মাইল জুড়ে বিস্তৃত। তবে তা আগে আরও বড় ছিল। এই হ্রদে সাদা ফুটকির মত জিনিস দেখা যায়। যা নোনা জল বাষ্পীভূত হয়ে তৈরি হয়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *