Kolkata

পুলিশকে সবুজ আবির, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, বিজেপির আইন অমান্যে ধুন্ধুমার

নারী নির্যাতন সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপির আইন অমান্যকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে স্তব্ধ হয়ে গেল গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ চত্বর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে এই আইন অমান্য কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা, সায়ন্তন বসু সহ গেরুয়া শিবিরের রাজ্য নেতৃত্ব। আর ছিলেন কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থক। যার মধ্যে মহিলা সমর্থকের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতন। অন্যদিকে বিজেপির পথ আটকাতে রাস্তার ওপর ব্যারিকেড করে হাজির ছিলেন প্রচুর পুলিশ। বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা এদিন ব্যারিকেড পর্যন্ত পৌঁছনোর পর প্রথমেই পুলিশকে লক্ষ্য করে সবুজ আবির ছুঁড়তে থাকেন। তারপর জোর করে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।


এদিকে ব্যারিকেডের বেশ কিছুটা আগেই মাটাডোর থামিয়ে সেখান থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ বিজেপি নেতৃত্বের তরফে ঘোষণা করা হয় এদিনের মত কর্মসূচি সমাপ্ত। আগামী বৃহস্পতিবার তাঁরা কেওড়াতলার কাছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভাঙা মূর্তি ঠিকঠাক করতে সেখানে হাজির হবেন। এদিন কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করার পরও বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থককে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায়। তবে ব্যারিকেড ভেঙে আর কেউ এগোনোর চেষ্টা করেননি।

এদিকে ব্যস্ত অফিস পাড়ায় দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত থমকে যায় কাজ। অনেক অফিস থেকে কেউ বার হতে বা ঢুকতে পারেননি। অনেকে অনেক কাজে এখানে আসেন। তাঁরাও ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি। বিকেলের পরে অবশ্য বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা ফিরে গেলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় অবস্থা। তবে ততক্ষণে বিকেল গড়িয়ে গেছে।



News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button