Lifestyle

দেশজুড়ে বাড়ির দেওয়ালে আঁকা হয় উত্থিত পুরুষাঙ্গ, এ এক প্রাচীন রীতি

এ এমন এক স্থান যেখানকার মানুষজন তাঁদের বাড়ির দেওয়ালে সগর্বে এঁকে রাখেন উত্থিত পুরুষাঙ্গ। এই প্রাচীন রীতি আজও মেনে চলার কারণ রয়েছে।

আচমকা এখানে বেড়াতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যেতে পারেন। বিশেষত মহিলারা দ্রুত চোখ সরিয়ে নিতে পারেন চরম অস্বস্তিতে। কিন্তু এটাই এখানকার প্রাচীন সংস্কৃতি। যাকে এখানকার মানুষ অত্যন্ত ভাল চোখে দেখেন।

ভুটানে বেড়াতে গেলে নানা প্রান্তেই কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির দেওয়ালে উত্থিত পুরুষাঙ্গের ছবি দেখা যায়। এই পুরুষাঙ্গ রীতিমত বড় করে আঁকা হয় দেওয়াল জুড়ে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

প্রধানত এর রং হয় গোলাপি। এমনকি কারও বাড়িতে নিমন্ত্রণে গেলে তিনি অতিথিকে পানীয় পরিবেশনের আগে একটি কাঠের পুরুষাঙ্গ তরলে ডুবিয়ে তারপর তা পান করতে এগিয়ে দেন। আবার অনেক বাড়ির ছাদ থেকে কাঠের পুরুষাঙ্গ ঝুলতেও দেখা যায়।

ভুটানে এ রীতি প্রায় ৫০০ বছর ধরে চলে আসছে। ভুটানের মানুষ মনে করেন উত্থিত পুরুষাঙ্গ যে কোনও বদআত্মার থেকে তাঁদের রক্ষা করে। পরিবারে খুশি বয়ে আনে পুরুষাঙ্গের ছবি।

আবার বাড়িতে যাতে সন্তান আসে সেজন্যও এই পুরুষাঙ্গের ছবিকে সম্মান করেন তাঁরা। এমনকি কাঠ দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পুরুষাঙ্গ রাখা থাকে। যা প্রায় দেবতা রূপে পূজিত হয়। যাকে ফুল, রক্তাভ দেশিয় মদ এবং দুধ দিয়ে পুজো করা হয়।

যদিও আগে প্রায় সব বাড়িতেই এমন পুরুষাঙ্গের ছবি দেখা গেলেও বর্তমানে শহরাঞ্চলে যাঁরা বাস করেন তাঁরা তাঁদের বাড়ির দেওয়ালে পুরুষাঙ্গের ছবি আঁকায় উৎসাহ হারাচ্ছেন। তবে ভুটানের গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ বাড়িতেই এই উত্থিত পুরুষাঙ্গের ছবি দেওয়ালে দেওয়ালে ঝলমল করে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *