Feature

রাতারাতি গ্রাম ছেড়ে পালালেন গ্রামবাসীরা, ভূতুড়ে গ্রামে আজও কেউ থাকেনা

সে রাতে গ্রামবাসীরা সকলে একসঙ্গে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। সেটা উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক, তারপর থেকে আজও এ গ্রামে মানুষ থাকতে পারেনা।

সময়টা উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক। সে সময় এই গ্রামে পালিওয়াল ব্রাহ্মণদের বসবাস ছিল। স্থানীয়দের মুখে মুখে ঘোরা এক কাহিনি মতে, গ্রাম তখন মানুষের বসবাসে রমরম করত। সে সময় স্থানীয় এক মন্ত্রীর কুনজর পড়ে ওই গ্রামের এক তরুণীর ওপর।

গ্রামবাসীরা বুঝতে পারেন গ্রামের মেয়ের সম্মান ওই প্রভাবশালী মন্ত্রীর হাত থেকে রক্ষা করা অসম্ভব। তাই একদিন রাতের অন্ধকারে গ্রাম ফাঁকা করে সব বাসিন্দাই পরিবার নিয়ে কোথাও যেন পালিয়ে যান। কোথায় পালিয়ে যান তা কেউ জানতে পারেনা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এখনও কেউ বলতে পারেনা যে গোটা গ্রামের মানুষ সেদিন রাতে কোথায় চলে গিয়েছিলেন। তবে কথিত আছে যাওয়ার সময় ব্রাহ্মণরা অভিশাপ দিয়ে যান যে তাঁদের ওই গ্রামে আর কখনও কেউ বসবাস করতে পারবেননা।

সত্যিই তারপর থেকে সে গ্রামে আর কেউ থাকেননি। অভিশপ্ত গ্রাম বলেই সকলে চেনেন রাজস্থানের জয়সলমীর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুলধারা গ্রামকে। এ গ্রামে তারপর থেকে কেউ কখনও থাকতে পারেননি।

কথিত আছে এ গ্রামে যখনই কেউ থাকতে গেছেন রাত নামলে সেখানে শুরু হয়েছে ভূতুড়ে কাণ্ডকারখানা। ছায়া হাঁটতে থেকেছে, অদ্ভুত সব শব্দ শোনা গেছে, কারা যেন নিজেদের মধ্যে কথাও বলে সেখানে। তবে কাউকে দেখা যায়না। এ সবই অবশ্য কথিত। তবে কেউ যে এ গ্রামে আর থাকেননি এটা ঘটনা।

Kuldhara
কুলধারা, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

এখন কুলধারা এক ধ্বংসপ্রাপ্ত গ্রামে পরিণত হয়েছে। বাড়ির ভাঙা দেওয়াল বাদ দিয়ে তেমন কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এএসআই এই গ্রামের রক্ষণাবেক্ষণে থাকায় তা এখনও তার ভাঙাচোরা চেহারা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এখন এ গ্রাম এক পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যেখানে মানুষ আসেন ওই ভূতুড়ে কাহিনির টানেই। ঘুরে যান ভূতুড়ে গ্রামে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *