Feature

সাধুরা কেবল গেরুয়া বসনই পরেন কেন, পিছনে রয়েছে প্রাচীন কারণ

সাধু মহাত্মারা গেরুয়া বসন পরে থাকেন। গেরুয়া বসন ধারণ করেন। কিন্তু কেন? কেন অন্য রং নয়? পিছনে কিন্তু বিশেষ কারণ রয়েছে।

স্বামীজি থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যে সাধু মহাত্মাদের দেখা যায়, তাঁরা গেরুয়া বসন পরে থাকেন। যুগ যুগ ধরেই কিন্তু এ দৃশ্য মানুষ দেখে এসেছেন। কিন্তু কেনই কেবল গেরুয়া বসন? কেন অন্য কোনও রং নয়? এর কারণ খুঁজতে কিন্তু পিছিয়ে যেতে হয় বেদের সময়ে।


গেরুয়া রং হল আগুনের রং। গেরুয়া হল সূর্যের রং। ঋগ্বেদে অগ্নিকে আগুনের দেবতা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। বৈদিক যে কোনও ক্রিয়ায় আগুনের ব্যবহার আবশ্যিক। সে হোম হোক বা আরতি।

বলা হয় আগুন সবকিছুকে পবিত্র করে তোলে। আগুনের রং হল ত্যাগের রং। আর সেই রং হল গেরুয়া। মানুষকে এই বস্তুবাদী দুনিয়া থেকে ত্যাগের পথে নিয়ে যায় এই গেরুয়া রং। তাই সেই বেদের সময় থেকেই গেরুয়া হয়ে গিয়েছিল বস্তুবাদী দুনিয়া ত্যাগ করে বৃহত্তম আধ্যাত্ম্য দুনিয়ায় নিজেকে সঁপে দেওয়ার রং।



তাই গেরুয়া হয়ে গেল সাধু মহাত্মাদের পরিধেয় বসনের রং। বেদে এ ধারনা দেওয়া হয় যে অগ্নি দেবতা পৃথিবীতে রয়েছেন আগুন রূপে, বায়ুমণ্ডলে রয়েছেন বজ্রের রূপে এবং আকাশে রয়েছেন সূর্য রূপে।

সেই অগ্নি বা গুনের রং গেরুয়া। ফলে গেরুয়ার মাহাত্ম্য সেই সময় থেকেই আধ্যাত্ম্য দুনিয়ায় স্বমহিমায় বিরাজ করছে। যা আজও অম্লান।

পরবর্তীকালে বৌদ্ধধর্মেও গেরুয়ার বহুল প্রচলন দেখা যায়। বৌদ্ধধর্মে এখনও বৌদ্ধ ভিক্ষুরা গেরুয়া বসনকেই পরিধেয় হিসাবে বস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেন।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button