Feature

ট্রাফিক সিগনালের রং লাল, সবুজ, হলুদ হয় কেন, রয়েছে বিশেষ কারণ

রাস্তায় যাতায়াত করতে গেলে ট্রাফিক সিগনাল তো সকলেই দেখেছেন। এটা ভেবে দেখেন কি যে কেন লাল, হলুদ আর সবুজ, কেন অন্য রং নয়? রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত কারণ।

রাস্তায় গাড়ির দাঁড়ানো, চলা, সবই নির্ভর করে ট্রাফিক সিগনাল কি ইঙ্গিত দিচ্ছে তার ওপর। ট্রাফিক নিয়ম মেনে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও কমে।

ট্রাফিকে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে লাল আলো দেখলে। লাল হওয়ার আগে সিগনাল হলুদ হয়। যাতে গাড়ির চালক বুঝতে পারেন লাল হতে চলেছে। এতে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে তাঁদের সুবিধা হয়।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তারপর সিগনাল সবুজ হলে তখন ফের গন্তব্যে ছুটে চলে গাড়ি। কিন্তু লাল, হলুদ আর সবুজই কেন হয় ট্রাফিক সিগনাল? অন্য কোনও রংও তো হতে পারে?

প্রথমত জানা দরকার ১৯২০ সালে এই ৩ রং লাল, হলুদ ও সবুজ রংয়ের ট্রাফিক সিগনাল চালু হয়। এই ৩টি রং বেছে নেওয়ার কিন্তু যথেষ্ট কারণ রয়েছে। রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত কারণ।

এটা নির্ভর করে রংটির তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ওপর। যত বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্য বা ওয়েভ লেন্থ তত দূর পর্যন্ত দেখা যায় ট্রাফিক সিগনাল। লাল রংটির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। তারপর বেশি হলুদ রংয়ের। তারপরই রয়েছে সবুজ রং। ৭ রংয়ের সবচেয়ে কম ওয়েভ লেন্থের রং হল বেগুনি। তাই তা দূর থেকে দেখা যায়না।

এতে গাড়ির চালকদের বৃষ্টি হোক বা কুয়াশা হোক বা ধোঁয়াশা, সব অবস্থাতেই লাল, হলুদ ও সবুজ রং দূর থেকে নজরে পড়ে। ফলে পরিবেশ পরিস্থিতি যাই হোক গাড়ি চালকদের ট্রাফিক সিগনাল দেখতে অসুবিধা হয় না। এতে ট্রাফিক আইন সঠিকভাবে মেনে গাড়ি দাঁড় করানো বা গাড়ি চালানো অব্যাহত থাকে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *