স্বর্গের পরীদের খুশি করতে মুখোশ পরে বিয়ে, ৫ হাজার বছর পুরনো উৎসব আজও সমান ঝলমলে
এই দেশেই এমন এক উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হয় যা ৫ হাজার বছর ধরে চলে আসছে। এই উৎসবে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় স্বর্গীয় ভাবনা থেকে পারম্পরিক সংস্কৃতি।
তাঁরা বিয়ে করেন। ২ জনেই পুরুষ। বিয়ে মানে প্রতীকী বিয়ে। বিয়ের পোশাকও নজরকাড়া। বর ও বধূর মুখ ঢাকা থাকে। একজনের কাপড়ে, অন্যজনের অলঙ্কারে। অলঙ্কারে মুড়ে ফেলা হয় বধূকে। তাঁরই নাম রাউলান। আর বর যিনি সাজেন তিনি হলেন রাউলা।
এই রাউলা আর রাউলান বিয়ে করে স্বর্গের পরীদের বাহন হয়ে যান। এখানে এই পরীদের বলা হয় সাউনি। সাউনিদের বিরাট অবদান থাকে এখানকার মানুষের জীবনে।
স্বর্গের পরী সাউনিরা প্রবল ঠান্ডার সময় মানুষের জন্য উত্তাপের ব্যবস্থা করেন। কীভাবে ওই প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও বেঁচে থাকতে হবে তার পথ দেখান। এ বিশ্বাস আজকের নয়। এ এক প্রাচীন বিশ্বাস।
হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলায় এই রাউলান উৎসব প্রতিবছর পালিত হয়। পুরো এলাকার মানুষ এই উৎসবে শামিল হন। উলের পোশাকে মোড়া হয়ে রাউলা এবং রাউলানের সাজে ২ জন মুখ ঢাকা অবস্থাতেই নাগিন নারায়ণ মন্দিরের সামনে এক ধর্মীয় নৃত্যে মেতে ওঠেন।
এটাই পরম্পরা। এটাই এখানকার প্রাচীন সংস্কৃতি। মনে করা হয় ৫ হাজার বছর আগেও এখানে এই উৎসবের প্রচলন ছিল। যা এখনও সমান মর্যাদা ও আড়ম্বরে পালিত হয় এই পাহাড়ি জনপদে। গ্রামবাসীরা সকলে মেতে ওঠেন তাঁদের রক্ষকদের সম্মান জানাতে।
রাউলান উৎসব শুধু স্থানীয় সংস্কৃতিকেই তুলে ধরে না, তা হিমালয়ের নিজস্ব সংস্কৃতি ও পরম্পরার ধারক ও বাহক। প্রসঙ্গত এই প্রাচীন এবং রঙিন উৎসব প্রতিবছর হোলির পরে বা বসন্তের শুরুতে এখানে পালিত হয়।













