Feature

এ গ্রামে হনুমান মন্দির নেই, কেউ মারুতি গাড়ি চড়েন না, কারণটা অবিশ্বাস্য

এই গ্রামে কখনও হনুমানের পুজো হয়না। তাঁর মন্দির নেই। কেউ হনুমান চালিশা পাঠ করেননা। কেউ মারুতি গাড়ি চড়েন না। কেন জানলে হতবাক হয়ে যেতে পারেন।

ভারতেই রয়েছে এমন একটি গ্রাম যেখানকার মানুষ গাড়ি কেনেন ঠিকই, তবে মারুতি সংস্থার কোনও গাড়ি নয়। মারুতির গাড়ি কিনলে তা ওই গ্রামে প্রবেশ নিষেধ। এই গ্রামটিতে হনুমানের কোনও মন্দিরও নেই। এখানে কোনও হনুমানের মূর্তি নেই।

হনুমান চালিশা কেউ পড়েন না। হনুমানজির নামে কেউ কারও সন্তানের নামও রাখেন না। এমনই এক অদ্ভুত গ্রাম রয়েছে মহারাষ্ট্রে। মহারাষ্ট্রের নান্দুর নিম্বা দৈত্য গ্রামে এ এক বহু প্রাচীন রীতি। যা বছরের পর বছর চলে আসছে। কিন্তু কেন সেখানে মারুতি সংস্থার গাড়ি চলেনা, হনুমান মন্দির নেই?

এর কারণ লুকিয়ে আছে এক বিশ্বাসে। যে দৈত্যের নামে এই গ্রাম সেই নিম্বা দৈত্যের সঙ্গে হনুমানজির লড়াই বাঁধে। দৈত্য সংহার করতে হনুমানজি উদ্ধত হন। এদিকে এই নিম্বা দৈত্য ছিল আবার ভগবান রামের ভক্ত।


নিম্বা দৈত্য রামের কাছে হাজির হয়। ভগবান রাম তখন ওই গ্রামে নিম্বা দৈত্যের একটি মূর্তি স্থাপনের অনুমতি দেন। এ কাহিনি এখনও এ গ্রামে কান পাতলে শোনা যায়।

যেহেতু নিম্বা দৈত্যের নামে ওই গ্রাম, তাই সেখানে হনুমানজির কোনও মন্দির নেই। হনুমানজি পূজিত হন না। কারণ নিম্বা দৈত্যের সঙ্গে লড়াই চলছিল হনুমানজির।

এবার মনে হতে পারে তাহলে মারুতি সংস্থার গাড়ি কি দোষটা করল! আসলে মরুত হলেন পবন দেব। আর মারুতি হল পবনপুত্র হনুমানের আরেক নাম। মরুত থেকে মারুতি। তাই মারুতি গাড়িরও এ গ্রামে কোনও জায়গা নেই। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলায় এই নান্দুর নিম্বা দৈত্য গ্রামটি রয়েছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *