মা, নারী, প্রকৃতি এবং ‘তবুও বৃষ্টি আসুক’
কবি শফিকুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ ‘তবুও বৃষ্টি আসুক’ মনোগ্রাহী এবং কোথাও ভিন্নধর্মী। প্রকৃতি, নারী, প্রেম, বিরহ সহজ সরল অক্ষরে ফুটে উঠেছে কবিতার ছত্রেছত্রে।
কবি শফিকুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ ‘তবুও বৃষ্টি আসুক’ মনোগ্রাহী এবং কোথাও ভিন্নধর্মী। প্রকৃতি, নারী, প্রেম, বিরহ যেমন সহজ সরল অক্ষরে ফুটে উঠেছে কবিতার ছত্রেছত্রে। তেমনই মায়ের প্রতি গভীর ভালবাসা, টান কবির কলমে প্রাঞ্জল। অন্যদিকে সমাজের হিংসাকে পরাজিত করে বিবেকের তাড়নায় মানুষের মনের মানবিক সত্ত্বাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টাও আলাদা করে নজর কাড়ে। ৪১টি কবিতা এক একটি মুক্তোর মত গেঁথে যে মুক্তাহার কবি উপহার দিয়েছেন তা অবশ্যই মনকে তৃপ্ত করে। তাঁর কবিতায় ভাষার ব্যবহার ও শব্দ চয়ন একেবারেই নিজস্ব ভঙ্গিতে উজ্জ্বল।
সুলতা এক নারী, এক প্রকৃতি। কোথাও গিয়ে সুন্দরী এই মানবীকে নিয়ে কবির প্রতিটি মুহুর্ত একাকার। তাঁকে হারানোর যন্ত্রণা, বিচ্ছেদের হাহাকার, ফিরে পাওয়ার আর্তি সবই একের পর এক কবিতায় ঢেউয়ের মত আছাড় খেয়ে পড়েছে। সুলতাকে খুঁজে ফেরা, তাঁর সান্নিধ্যের আর্তি নিয়ে অন্তহীন শূন্যতা কোথাও গিয়ে কবি মনের গভীর বেদনাকে বারবার সামনে এনেছে। কোথাও গিয়ে সুলতাকে হারানোর যন্ত্রণা, কবির অভিমান পাঠককুলকেও মর্মাহত করে। আর এখানেই কবির সাফল্য। পাঠক-পাঠিকাকে তাঁর ভাবনার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার এই প্রতিভা অবশ্যই কবি শফিকুল ইসলামকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে এবং আগামী দিনেও দেবে।
বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম উপসচিব কবি শফিকুল ইসলাম খুব স্বাভাবিকভাবেই দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ত মানুষ। এমন পদে ব্যস্ততাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার মধ্যেও সময় বার করে কবিসত্ত্বাকে যেভাবে তিনি বাঁচিয়ে রেখেছেন। যেভাবে এমন মর্মস্পর্শী লেখায় পাঠককুলের মন ভরিয়ে দিচ্ছেন তা তারিফের দাবি রাখে।