প্রেমিকাকে নিয়ে ছেলের নেপাল যাওয়া রুখতে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ালেন মা, সঙ্গী বৌমাও
বাড়িতে স্ত্রী রয়েছেন। তা সত্ত্বেও ছেলে চলেছেন প্রেমিকাকে নিয়ে লুকিয়ে নেপালে বেড়াতে। একথা জানতে পেরে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ালেন মা। সঙ্গী ছিলেন বৌমাও।

স্ত্রী রয়েছেন। তা সত্ত্বেও এক ব্যক্তি অন্য নারীর প্রতি অনুরক্ত। তাঁর সঙ্গে প্রেম করছেন। একথা তাঁর মা ও স্ত্রী জানতে পেরেছিলেন। এটাও জানতে পেরেছিলেন যে ওই ব্যক্তি তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে লুকিয়ে নেপালে বেড়াতে যাচ্ছেন।
কথাটা জানার পর আর স্থির থাকতে পারেননি মা ও স্ত্রী। শাশুড়ি, বৌমা মিলে ওই ব্যক্তিরই এক বন্ধুর পরামর্শে একটি পরিকল্পনা করেন। ছেলে ও তাঁর প্রেমিকার নেপাল যাওয়া ভেস্তে দিতে মা ফোন করেন বিমানবন্দরে। জানান ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা রাখা আছে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ফোন পাওয়ার পর কোনও ঝুঁকি নেননি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আধিকারিকরা। বিমানটি যাত্রা করতে আর কিছুক্ষণই বাকি ছিল। যাত্রীরাও বিমানে উঠে পড়েছিলেন। তাঁদের দ্রুত বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়।
তারপর বম্ব স্কোয়াড এসে বিমানটি তন্নতন্ন করে খুঁজে ফেলে। কিন্তু কোনও বোমার হদিশ পাওয়া যায়নি। এসবে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও যাত্রা স্থগিত হয়নি। ফলে ওই ব্যক্তিও তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে ওই বিমানে উড়ে যান নেপালের দিকে।
বাংলাদেশের ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা ব়্যাব কিন্তু বসে থাকেনি। খোঁজ শুরু হয় ফোনটি কোথা থেকে এসেছিল তার। খোঁজও পাওয়া যায়। এরপর ওই ব্যক্তির মা ও স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই ব্যক্তির মা জানান, ছেলের পরকীয়া আটকাতেই তিনি ও তাঁর বৌমা মিলে ওই ফোন করেছিলেন। কারণ যাই হোক, তাঁরা যে অপরাধ করেছেন তা তাঁদের জানানো হয়। এভাবে বিমানবন্দরে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর জন্য তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
ব়্যাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেই এই ঘটনার কথা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়। এদিকে যে কারণে এতকিছু সেটা কিন্তু আটকানো সম্ভব হয়নি। বরং মা ও স্ত্রী যখন গারদের পিছনে তখন ওই ব্যক্তি দিব্যি নেপালে প্রেমিকার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।