বহুতলে মজুত রয়েছে রাসায়নিক। আর তার পাশেই রাস্তার ওপর একটি ট্রান্সফরমার। যেটুকু জানা গেছে, প্রথমে বিস্ফোরণ হয় ট্রান্সফরমারে। তারপর সেই আগুন ছিটকে ওই বহুতলে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাসায়নিক থাকায় দ্রুত আগুন ছড়ায়। প্রথমে ওই বাড়িটির পর আশপাশের বেশ কয়েকটি বহুতলও আগুনের গ্রাসে চলে আসে। ছুটে আসে দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। কিন্তু এমন বিধ্বংসী আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে আকাশপথে জল ঢালার প্রয়োজন। বাংলাদেশ বায়ুসেনার হেলিকপ্টার দিয়ে শুরু হয় আকাশ থেকে জল ঢালা। তাতেই কাজ হয়। আস্তে আস্তে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৫ মিনিট নাগাদ বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার চকবাজারের চুরিহাটা এলাকার নন্দকুমার লেনের হাজি ওয়াহেদ ম্যানসনে আগুন লাগে। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ৭০ জনের। যারমধ্যে ৪টি শিশু ও ৫ জন মহিলা রয়েছেন। ৫৬ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এমন ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।

বিধ্বংসী এই আগুনের পর তদন্ত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের জন্য এক বিশেষ দিন। ভাষা শহিদ দিবস। তার আগের রাতে এমন এক ভয়ংকর আগুন ভাষা শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলে। এত মানুষের মৃত্যুতে গোটা দেশ শোকাহত।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)













