World

রাতে বন্দিদের ধরে রাখতে জেলখানার কাজে লাগত এই গাছ

বন্দিদের অনেক সময় এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যেতে হয়। মাঝে রাত কাটাতে হয়। রাতে এই গাছ ছিল বন্দিদের রাখার জায়গা।

গাছ জেলের কাজ করে এমনটা শুনেছেন কখনও? কিন্তু সেটাই হত। একটা সময় ছিল যখন বন্দিদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সময় রাত কাটাতে হত। রাতে বন্দিদের তো আটকে রাখতে হবে। নাহলে তো তারা পালিয়ে যাবে। তাই তাদের আটকে রাখার জন্য বেছে নেওয়া হত একটি গাছকে।

সেই গাছে তাদের ভরে আটকে রাখা হত। যাতে বন্দিরা পালাতে না পারে। এটা কিন্তু ভাববেন না যে বন্দিদের গাছে বেঁধে রাখা হত। তাদের আদপে ভরে রাখা হত গাছের কোটরে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

গাছের কোটরে পাখি থাকতে পারে। ছোটখাটো চেহারার প্রাণি থাকতে। মানুষ কীভাবে থাকবে? এখানেই এই গাছের আশ্চর্য চেহারার কেরামতি।

এই গাছের কাণ্ডটি একটি বিশাল গোল জালার মত। যে কাণ্ডের ভিতরের নরম তন্তুগুলি নষ্ট হয়ে পেটের মধ্যে একটা বিশাল ফাঁকা জায়গা তৈরি করে।

একটি চেরা ফাঁকের মত জায়গা দিয়ে ভিতরে উঁকি দিলে সেই প্রায় গোল জায়গা নজরে পড়ে। যার দেওয়াল হল কাণ্ডের কাঠ। প্রকৃতির আজব খেলায় এই গাছের কোটর তৈরি হয়।

আর তা এতটাই বড় ছিল যে তাতে বন্দিদের দিব্যি পুরে দেওয়া যেত। সেখান থেকে তাদের পালাতে গেলে কেবল ওই চেরা মত ফাঁক গলেই পালাতে হবে। সেখানে থাকত কড়া প্রহরা। ফলে পালানোর কার্যত কোনও পথ ছিলনা।

অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম ডার্বিতে একটি ফাঁকা প্রান্তরে দিব্যি জালার মত সেই কোটর নিয়ে বেঁচে আছে এই গাছ। বন্দিদের রাখা হত বলে এর নাম বোয়াব প্রিজন ট্রি।

বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন এ গাছটির বয়স এখন দেড় হাজার বছর। প্রতিবছর এই গাছকে দেখতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে। গাছটির আরও একটি নাম আছে। অনেকে একে কুনুমুজ নামেও ডাকেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *