একটা বিষয়ে সারাজীবন আক্ষেপ থেকে গেল অমিতাভ বচ্চনের, কি তা নিজেই জানালেন
জীবনে সাফল্যের তালিকা নেহাত ছোট নয়। অমিতাভ বচ্চন একজন সফল মানুষের নাম। কিন্তু তারপরেও তাঁর সারাজীবন একটা আক্ষেপ থেকে গেছে। কি আক্ষেপ জানালেন নিজেই।

অমিতাভ বচ্চন নামটাই ভারতবাসীর কাছে যথেষ্ট। ভারতীয় সিনেমার একটা স্তম্ভ। এক কিংবদন্তি। জীবনে যে বয়সে পৌঁছেছেন, সেই বয়সেই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন পর্দার সঙ্গে। তাই এই ৮০ বছর পার করেও তিনি এখনও সফল।
তাঁর কৌন বনেগা ক্রোড়পতি অনুষ্ঠানে অমিতাভ বচ্চন তাঁর নিজের জীবনের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। এটা অমিতাভ বচ্চন গত কয়েকটি এপিসোড ধরেই করে আসছেন।
অমিতাভ বচ্চন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের এমনও অনেক কথা জানিয়েছেন যা অনেকের অজানা ছিল। যেমন তিনি এবার জানালেন তাঁর জীবনে একটা আক্ষেপ চিরকাল থেকে গেছে। এই আক্ষেপ তিনি আজও মুছে দিতে পারেননি।
অমিতাভ জানান, তাঁর পারিবারিক জীবন একদম সহজ সরল ছিল। জয়া বচ্চন সংসার সামলাতেন। অভিষেক ও শ্বেতাকে সামলাতেন। আর অমিতাভ বচ্চন কাজে যেতেন।
অমিতাভ জানান, তিনি সেই সময় সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকতেন। তিনি যখন কাজে বার হতেন তখন তাঁর ২ সন্তান অভিষেক ও শ্বেতা ঘুমোতেন। আবার অমিতাভ যখন রাতে বাড়ি ফিরতেন তখনও তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন।
ফলে ২ সন্তানকে বড় করাটা জয়া বচ্চন একাই সামলেছেন। অমিতাভ জানান এটা তাঁর জীবনের আক্ষেপ যে তিনি অভিষেক ও শ্বেতার সঙ্গে সেভাবে সময় কাটানোর সুযোগ পাননি। তাঁদের সময় দিতে পারেননি।
তবে অমিতাভ এও জানান যে একটা সময় তিনি স্থির করেছিলেন রবিবার কোনও কাজ তিনি করবেননা। ওইদিন বাড়ি থাকবেন। বাড়িতে তিনি ও তাঁর স্ত্রী জয়া মিলে ২ ছেলেমেয়ের জন্য খাবার বানাতেন। তারপর পুরো পরিবার একসঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করত।
অমিতাভ জানান, এই বয়সে পৌঁছেও সেই প্রথা চালু রয়েছে তাঁর পরিবারে। এখনও প্রতি রবিবার তাঁর পুরো পরিবার একসঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা