Lifestyle

পৃথিবী কাঁপানো বেড়াল চশমার জন্ম দিল দোকানের জানালা

পৃথিবীর অনেক অনবদ্য সৃষ্টিই কিন্তু খুব ভেবেচিন্তে নয়, বরং কাকতালীয়ভাবেই সৃষ্টি হয়েছিল। তার একটি অবশ্যই পৃথিবী কাঁপানো বেড়াল চশমা। সে কাহিনি বড়ই টানটান।

আমেরিকায় পড়াশোনার পাঠ শেষ করে এক তরুণী পাড়ি দিলেন ফ্রান্সে। সেখানে তিনি আঁকা শিখতে চান। এক বিখ্যাত শিল্পীর ক্লাসে আঁকা শেখা শুরুও করলেন। এমনভাবে একসময় মাস্টার বদলাল।

এক জার্মান শিল্পী জর্জ গ্রুজের কাছে যখন তিনি অঙ্কন শিল্পের তালিম নিচ্ছেন তখন একদিন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। রাস্তার ধারে একটি চশমার দোকান। দোকানের কাচের জানালায় সাজানো রয়েছে নানারকম ফ্রেম।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সেসব ফ্রেমের অধিকাংশ খুব সুন্দর কিছু নয়। তরুণীর নজরে পড়ল ফ্রেমগুলির মধ্যে মহিলাদের ফ্রেম প্রায় নেই। রয়েছে কেবল একটি। যেটি গোল। এমন কিছু আকর্ষণীয় নয়। ওখানে দাঁড়িয়েই তাঁর দোকানের জানালার দিকে চেয়ে একটা নতুন ফ্রেমের কথা মাথায় এল।

অল্টিনা শিনাসি নামে ওই তরুণী বাড়ি ফিরে কাগজ কেটে সেই চশমার ফ্রেমের ডিজাইনটি বানালেন। তারপর সেটি নিয়ে নামকরা চশমার ফ্রেম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির কাছে হাজির হলেন। কিন্তু সকলেই সেই ডিজাইন বাতিল করে দিল।

সকলেরই এক মত, চশমায় খোঁচা মত করে কোণা বেরিয়ে থাকছে। যা ভাল দেখাবে না। ওই তরুণীও হাল ছাড়ার পাত্রী নন। তিনি অবশেষে হাজির হলেন এক স্থানীয় চশমা প্রস্তুতকারকের কাছে।

সেই চশমা প্রস্তুতকারক অবশেষে রাজি হলেন অল্টিনার হার্লেকুইন চশমা তৈরি করতে। যা ১৯৩০-এ সামনে আসার পর আর পিছন ফিরে তাকায়নি। হার্লেকুইন নামটাও তার আর থাকেনি।

অচিরেই তার নাম হয়ে যায় ক্যাটসআই চশমা। এই বেড়াল চোখের চশমা এত দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় যে তা চলচ্চিত্র দুনিয়াতেও নায়িকাদের মুখে নজরে আসতে থাকে।

সেই বেড়াল চশমা আজও কিন্তু সমান জনপ্রিয়। বেড়াল চশমার জন্মদাত্রী অল্টিনা শিনাসির ১১৬ তম জন্মদিনে গুগল তার ডুডলের মাধ্যমে তাঁকে সম্মানও জানাল।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *