National

অসমে বাঙালি ‘খেদানো’ নিয়ে সোচ্চার তৃণমূল

বিজেপি শাসিত অসমে বাঙালি ‘খেদানো’-র চক্রান্ত চলছে। গত বুধবার বীরভূমের আমোদপুরে সরকারি জনসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগে সুর চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই চক্রান্তের আশু প্রতিবাদ জানাতে হবে। দলনেত্রীর সেই নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদদের কাছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দলনেত্রীর নির্দেশ পালনে সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা যায় দলীয় সাংসদদের। হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে শ্লোগান। সংসদের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে অসমে বাঙালি খেদাও অভিযানের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন তৃণমূলের সাংসদরা।

সম্প্রতি দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে নাগরিকপঞ্জি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে অসমের সর্বানন্দ সোনোয়াল সরকার। সেই পঞ্জির প্রকাশিত প্রথম তালিকায় নেই অসমের ৭০% বাঙালির নাম। এমনকি তালিকায় অসমের বরাক উপত্যকার বাঙালিদের নাম নথিভুক্তির হার সবথেকে কম বলে দাবি তৃণমূল সুপ্রিমোর। বাঙালির সঙ্গে হওয়া এই বঞ্চনা তিনি মেনে নেবেন না বলে আগেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা। তবে তাঁর সেই অভিযোগ বা দাবি মানতে নারাজ অসম সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অসমে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে এর মধ্যে নাগরিকপঞ্জির সবে প্রথম খসড়া প্রকাশ করেছে অসমের রাজ্য সরকার। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হতে এখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি। তাই অসমনিবাসী বাঙালিদের চিন্তা করার কোনও কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে খোলা মঞ্চে জাতি বিদ্বেষ ও আদালত অবমাননাসূচক মন্তব্যের দায়ে অসমের দিসপুরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে অসম কৃষক শ্রমিক কল্যাণ পরিষদ। সবমিলিয়ে গোটা ঘটনার নেপথ্যে অন্য গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।


(ছবি – সৌজন্যে – ফেসবুক – এআইটিসি অফিসিয়াল)

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button