মহানবমীতে শ্রাবণের ধারাপাত, কবে কেমন বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া দফতর
এবার কার্তিক মাসে দুর্গাপুজো। তাও বৃষ্টি পিছু ছাড়ল না। মহানবমীর সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই বৃষ্টি কতদিন চলবে?
![Durga Puja](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2023/10/durga-puja-11.jpg)
পুজো দেরিতে পড়লেও বৃষ্টির হাত থেকে তা রেহাই পেল না। এবার আশ্বিন নয়, কার্তিক মাসে হচ্ছে দুর্গাপুজো। হেমন্তকালের রীতি মেনে উত্তুরে হাওয়াও তেজ বাড়াচ্ছিল। কিন্তু পুজোর মুখেই আবহাওয়া দফতর জানায় পুজোয় নবমী ও বিজয়াদশমীতে বৃষ্টি পেতে চলেছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ। বৃষ্টি বেশি হবে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে।
তবে ঝেঁপে নয়। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। তাই বাঙালির পুজোর আনন্দ পুরোটাই মাটি হবেনা বলেই মনে করছিলেন সকলে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপের জেরে এই বৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল সেই নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়ে তা গভীর নিম্নচাপের রূপ নিয়েছে।
এবার তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে স্থলভাগের দিকে এগোবে। তার জেরে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়ায় বৃষ্টি হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। অন্য জেলাগুলিতেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
এই বৃষ্টি নবমী, দশমী তো বটেই এমনকি একাদশী পর্যন্ত বহাল থাকবে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। একাদশীর বিকেল থেকে এই পরিস্থিতির বদল হবে। ফের আকাশ পরিস্কার হবে।
কিন্তু তখন বৃষ্টি হওয়া বা আকাশ পরিস্কার হওয়ায় মানুষের খুব বেশি কিছু যায় আসেনা। কারণ সারাবছর ধরে যে ৪টে দিনের অপেক্ষা, সেই ৪ দিনের ২টো দিন যদি বৃষ্টি মাটি করে তাহলে পুরো আনন্দ হল কই!
যদিও এবার অষ্টমী পর্যন্ত আকাশ পরিস্কার থেকেছে। রোদ ঝলমল করেছে। রাত ও ভোরের দিকে বেশ একটা হিমেল পরশ ছিল। সব মিলিয়ে বেশ কাটছিল পুজো। কিন্তু নবমীতে একটু বেলা বাড়তেই অসুর বৃষ্টি শুরু হয় বিভিন্ন জায়গায়।
ফলে মাথায় ছাতা হাতেই ঠাকুর দেখতে হয় অনেককে। নতুন পোশাক পরে বেরিয়ে সেগুলিও বৃষ্টিতে ভিজে যায়। যা অবশ্যই আনন্দের তাল কেটেছে নবমীতে।