Feature

তিলোত্তমার বড় অংশই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল সেদিন, গঙ্গার জলে ভেসে গিয়েছিল শহর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বয়স তখন ৩ বছর। সেদিন শহরের অনেকটা অংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। গঙ্গার জল ঢুকে শহরের অনেক অংশ প্লাবিত হয়েছিল।

এমন এক ঘূর্ণিঝড় কলকাতা আর দেখেনি। এমনই ভয়ংকর ছিল তার ধ্বংসলীলা। একটা ঘূর্ণিঝড় সেদিন অধিকাংশ কলকাতাটাই ধ্বংস করে দিয়েছিল। তছনছ হয়ে গিয়েছিল গোটা শহর।

সময়টা ১৮৬৪ সালের ৫ অক্টোবর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বয়স তখন ৩ বছর। সে সময় এক ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল কলকাতার ওপর। যাকে ভারতের ইতিহাসের অন্যতম ভয়ংকর ৩টি ঘূর্ণিঝড়ের একটি ধরা হয়।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সেই ঝড়ের ধ্বংসলীলা এতটাই ভয়ংকর ছিল যে ঝড়ে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি সীমাহীন হওয়ার পাশাপাশি তা কেড়ে নিয়েছিল হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। ওই একটি ঝড়ে ৬০ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। যার অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ ছিল জলে ডুবে যাওয়া।

এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে কলকাতার গা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া হুগলি নদীর জল যাকে সাধারণ মানুষ গঙ্গা বলেই চেনেন, এতটাই ফুলে ফেঁপে ওঠে যে তা কলকাতার একটা বড় অংশকে ডুবিয়ে দেয়। জলের তলায় চলে যায় শহরটা।

সেই প্লাবনে ভেসে গিয়ে, ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। আর ঝড়ের পর বহু মানুষ কলেরা, গুটিবসন্ত এবং আমাশায় আক্রান্ত হন। তাঁদেরও অনেকের মৃত্যু হয়।

এমন এক দুঃস্বপ্নের ঝড়ের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে বহুদিন লেগে গিয়েছিল কলকাতা শহরের। বহু পরিবার ওই ঝড়ে শেষ হয়ে যায়। বহু বাড়ি ভেঙে পড়ে। তছনছ করে দেওয়া সেই ঝড় আজও ভারতে ভয়ংকরতম ৩টি ঝড়ের ১টি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *