৭০ বছর পর বাংলায় দেখা মিলল অতি বিরল প্রজাতির হরিণের, যার নাভিতে থাকে ভুবনভোলা গন্ধ
অবশ্যই এক বড় প্রাপ্তি। এই পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলেই দেখা মিলল অতি বিরল প্রজাতির এক হরিণের। যার নাভিতে লুকিয়ে থাকে চারধার মাতিয়ে দেওয়া ভুবন ভোলানো সুবাস।
হরিণ অত্যন্ত চেনা এক প্রাণি। তবে সব হরিণ নয়। হরিণের এমনও কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে যারা অতি বিরলের দলে পড়ে। যাদের সংরক্ষণ না করতে পারলে পৃথিবী থেকে বিলুপ্তও হয়ে যেতে পারে।
এমনই একটি প্রজাতির হরিণ হল কস্তুরিমৃগ। বলা হয় কস্তুরিমৃগের নাভি থেকে একধরনের সুগন্ধ নির্গত হয়। যা মৃগনাভির সুগন্ধি বলে পরিচিত। ইংরাজিতে একে মাস্ক বলে। যার গন্ধ সুগন্ধি দুনিয়ায় একদম প্রথমসারিতে জায়গা পায়।
এই কারণে এই হরিণ চোরাশিকারিদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হয়। ভারতের হিমালয় লাগোয়া রাজ্য জম্মু কাশ্মীর থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গলে কস্তুরিমৃগের দেখা মেলে ঠিকই, তবে তাদের সংখ্যা এতটাই কম যে তারা বিপন্ন প্রজাতির প্রাণির লাল তালিকাভুক্ত।
অন্য জায়গায় যদিওবা কদিচ কখনও তার দেখা মেলে, পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলে তার দেখা শেষবার পাওয়া গিয়েছিল ১৯৫৫ সাল নাগাদ। দার্জিলিংয়ের কাছে জঙ্গলে তার দেখা মেলে। তারপর ৭০ বছরেও তার দেখা মেলেনি এ রাজ্যের হিমালয় লাগোয়া কোনও জঙ্গলে। ৭০ বছর পর অবশেষে এই হরিণের দেখা পাওয়া গেল দার্জিলিংয়ের নেওরাভ্যালি জাতীয় উদ্যানে।
এই সংরক্ষিত জঙ্গলে থাকা প্রাণিদের ওপর নজর রাখার জন্য বন দফতর অনেকগুলি ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগিয়ে রাখে জঙ্গলের নানা প্রান্তে। তেমনই একটি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে একটি কস্তুরিমৃগ। যা দেখে কার্যতই খুশি সকলে। বাংলার জঙ্গলে ৭০ বছর পার করে ফের এই হরিণের দেখা মেলা যে আনন্দের হবে তা বলাই বাহুল্য।













