বিরল দৃশ্য, স্পষ্ট দেখা গেল ঘুমন্ত বুদ্ধের চোখ ঝলসানো রূপ, কি এই ঘুমন্ত বুদ্ধ
তাকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন সকলে। এবার তাকে দেখা গেল। একেবারে চোখ ঝলসানো ঝলমলে রূপে। দেখা দিল ঘুমন্ত বুদ্ধ।
ঘুমন্ত বুদ্ধের দেখা মিলল। এ দৃশ্য বড় একটা চোখে পড়েনা। তাই পর্যটকরা তো বটেই, স্থানীয় মানুষও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন এই দৃশ্য কবে দেখার সুযোগ পাবেন তার জন্য।
অবশেষে মেঘ কাটল। কুয়াশার চাদরও নেই। ঝলমল করছে দিন। আর সেই ঝলমলে দিনের হাত ধরে দূরে দেখা গেল ঘুমন্ত বুদ্ধকে। দার্জিলিং তো বটেই, উত্তরবঙ্গের অনেক জায়গা থেকেই এই দৃশ্য তারিয়ে উপভোগ করেছেন সকলে।
কেউ ছবি তুলতে থেকেছেন। কেউ নিয়েছেন সেলফি। কেউ বানিয়েছেন রিল। কেউ বা স্রেফ দুচোখ ভরে উপভোগ করতে থেকেছেন। কাঞ্চনজঙ্ঘার এই রূপ সচরাচর দেখা যায়না।
মেঘ কেটে গত সোমবার থেকেই ঝলমল করছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। তারই ফেটে পড়া রূপে মুগ্ধ পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। এমন ঝলমলে আকাশ থাকলে ঘুমন্ত বুদ্ধের দর্শন পাওয়া যাবে।
কাঞ্চনজঙ্ঘাকেই বলা হয় ঘুমন্ত বুদ্ধ। এর বিশেষ কারণও রয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার মূল পর্বতটি ছাড়াও তার আশপাশ মিলিয়ে মোট ৫টি পর্বত রয়েছে। যা নিয়েই এই কাঞ্চনজঙ্ঘার পর্বত প্রাচীর তৈরি হয়েছে।
এগুলি এমনভাবে পাশাপাশি রয়েছে যে একটা দূরত্ব থেকে দেখলে মনে হয় যেন কেউ শুয়ে আছেন। মাথা, বুক, পেট, পাদদেশ, সবই ৫টি উঁচু নিচু পর্বতসারিতে স্পষ্ট। এটাকেই বলা হয় ঘুমন্ত বুদ্ধ। যেন স্বয়ং ভগবান বুদ্ধ শুয়ে আছেন।
কাঞ্চনজঙ্ঘা পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ। যা ভারত ও নেপাল সীমান্তে অবস্থিত। উচ্চতা ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার বা ২৮ হাজার ১৬৯ ফুট।













