ঘূর্ণিঝড় শক্তি কবে তৈরি হতে পারে, কি হবে পশ্চিমবঙ্গের, কি বলছে আবহাওয়া দফতর
মে মাসের মধ্যভাগ থেকেই একটা ঘূর্ণিঝড় নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। এটা প্রতিবছরের একটা ধারা হয়ে উঠেছে। এবারও সেই ইঙ্গিত ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।

গত ১৩ মে যে ভারতে বর্ষার প্রবেশ ঘটবে, আর তা সময়ের আগেই হবে, সে পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সেটা অক্ষরে অক্ষরে মিলেও গেছে। একেবারে পূর্ব ঘোষিত ১৩ মেতেই দক্ষিণ আন্দামান সাগর, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা প্রবেশ করেছে।
সেখানে প্রবল বৃষ্টিও হচ্ছে। ভারতের মূল ভূখণ্ডে অবশ্য বর্ষা প্রবেশ করে কেরালা দিয়ে। আর সেটা হতে এখনও কিছুটা সময় বাকি। তবে এবার সময়ের আগেই বর্ষা প্রবেশের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এদিকে মে মাসের মধ্যভাগে পৌঁছেই বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়াটা প্রতিবছরের একটা ধারাবাহিক প্রবণতা হয়ে উঠেছে। এবারও কিন্তু তার অন্যথা হবে বলে মনে করছেন না অনেক আবহবিদ।
বঙ্গোপসাগরে বায়ুমণ্ডলের উপরিস্তরে একটি ঘূর্ণি পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। আবহবিদরা মনে করছেন আগামী ১৬ মে-র পর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়া শুরু হয়ে যাবে। যা ২৩ মে থেকে ২৮ মে-র মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে।
তা যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে শক্তি। সেই শক্তি পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এরমধ্য পশ্চিমবঙ্গের ওপর তার ধাক্কা সর্বাধিক হবে কিনা তা অবশ্য এখনই বলতে পারছেন না আবহবিদেরা।
আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ প্রান্তে বর্ষা প্রবেশের হাত ধরে দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের ওপর প্রবল বর্ষার পূর্বাভাস রয়েছে। যদিও তামিলনাড়ুর অনেক জায়গায় ৪০ ডিগ্রি বা তার বেশিতে পারদ ঘোরাফেরা করছে।
কিন্তু তারমধ্যেই প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। বৃষ্টি চলতে পারে ১৬ মে পর্যন্ত। এদিকে ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরের আরও কিছুটা অংশ, দক্ষিণ আরবসাগর ও মালদ্বীপে বর্ষা ঢুকে পড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছে চেন্নাই আবহাওয়া দফতর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা