SciTech

কয়েক বছরের মধ্যে প্রবল জল সংকটে পড়তে চলেছে দেশের যে শহরগুলি

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড এবার সতর্কবাণী শোনাল দেশের ৩০টি শহরের জন্য। প্রবল জল সংকটে পড়তে চলেছে এই শহরগুলি বলে আগাম সতর্ক করেছে তারা।

চরম জল সংকটে পড়তে চলেছে কলকাতা। জলের জন্য হাহাকার শুরু হতেই পারে। এত মানুষের যে শহরে বসবাস সে শহরে তীব্র জল সংকট এক ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করে দিতেই পারে।

তাই শহর কলকাতার মাথায় ঝুলতে থাকা এই খাঁড়া সম্বন্ধে আগাম সতর্ক করেছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড। শহরে জল সংকট ২০৫০ সালের মধ্যে চরমে পৌঁছতে চলেছে বলে সতর্ক করেছে ওই সংগঠন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

কলকাতা ছাড়াও ভারতের ৩০টি শহরকে এই তালিকায় রেখেছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড। কলকাতা ছাড়াও তালিকায় রয়েছে মুম্বই, অমৃতসর, কোঝিকোড়, ইন্দোর, বেঙ্গালুরু, বিশাখাপত্তনম, পুনে, জয়পুর, শ্রীনগর-এর মত শহরগুলি। এখানে জল সংকট ক্রমশ প্রকট হতে চলেছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।

ডব্লিউডব্লিউএফ এও জানিয়েছে সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। যাতে এই সংকট ভয়ংকর হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য পরিকল্পনা রূপায়নে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে জোর দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড।

Drought
ফাইল : খরা কবলিত এলাকায় ফেটে চৌচির মাটি, ছবি – আইএএনএস

শুধু ভারতের ৩০টি শহর বলেই নয় বিশ্বের আরও বেশ কিছু শহর এই তালিকায় জায়গায় পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বেজিং, জাকার্তা, জোহানসবার্গ, ইস্তানবুল, হংকং, মক্কা, রিও ডি জেনিরো সহ বেশ কিছু শহর।

এদিকে ভারত নগরায়নে জোর কদমে এগোচ্ছে। নতুন নতুন শহর তৈরি হচ্ছে। অনেক শহর উন্নত হয়ে স্মার্ট সিটি হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় সেখানে জলের একটা বড় ভূমিকা রয়ে যাচ্ছে। আর সেই জলের যদি সংকট তৈরি হয় তাহলে তা নগরায়নের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।

শহরগুলোকে জল সংকট থেকে বাঁচাতে জলাভূমি সংরক্ষণ, জল সংরক্ষণ সহ বিভিন্নভাবে জলের সাশ্রয়ে জোর দিতে পরামর্শ দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড।

সংগঠনের তরফে আরও জানানো হয়েছে প্রাথমিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় জলের সমস্যা দিয়েই। অনেক শহরই কিন্তু এখন অকাল বন্যার কবলে পড়ছে।

তারপর দেখা যাচ্ছে মাটির তলা থেকে যে জল ওঠে শহরের অনেক জায়গায় সে জল পাওয়া যাচ্ছেনা। এটা কিন্তু অশনিসংকেত বহন করছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *