SciTech

মানবসভ্যতার জন্য চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে, ৬ গুণ গতিতে গলছে বরফ

পৃথিবীতে জলের তুলনায় স্থল অনেকটাই কম। জলের অনেকটা বরফ হয়ে রয়েছে মেরুপ্রদেশে। সেই সব বরফ যদি জল হয়ে বাড়াতে থাকে জলস্তর তাহলে চিন্তার।

গোটা বিশ্বের জন্য, গোটা মানবসভ্যতার জন্য ক্রমশ বাড়ছে চিন্তা। প্রশ্ন এখন বাঁচানো যাবে তো বিশ্বকে? জলের তলায় চলে যাবেনা তো মানবসভ্যতা? এমন প্রশ্নের কারণ রয়েছে।

পৃথিবীতে জলের তুলনায় স্থল অনেকটাই কম। জলের আবার অনেকটা বরফ হয়ে রয়েছে মেরুপ্রদেশে। জল চাঁই চাঁই বরফ হয়ে থাকলে একরকম। কিন্তু সেই সব বরফ যদি জল হয়ে বাড়াতে থাকে জলস্তর তাহলে কী হবে?


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এই তাহলে কী হবেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন? শুধু সাধারণ মানুষ নন বিজ্ঞানীদের কাছেও। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য যা জানাচ্ছে তাতে চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মাত্র ৩০ বছরের ব্যবধানে ৬ গুণ বেড়ে গেছে আইসল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফের চাঁই গলা। সেই বিপুল পরিমাণ বরফ জল হয়ে ক্রমশ মিশছে সমুদ্রে।

১৯৯০ সালে বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে যে গতিতে এই বরফ গলছিল, ২০২০ সালে এসে দেখা যাচ্ছে তা ৬ গুণ বেশি গতিতে গলে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ১৯৯২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে আইসল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার ৬.৪ ট্রিলিয়ন টন বরফ গলে গেছে।

৬ লক্ষ ৪০ হাজার টন বরফ গলে যাওয়া কিন্তু মুখের কথা নয়! বিজ্ঞানীরা বলছেন এতে সমুদ্রের জলস্তর ১৭.৮ মিলিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। শতাংশের হিসাবে ৫ শতাংশ। কিন্তু যেভাবে বরফ গলছে এবং যে গতিতে গলছে তাতে ভবিষ্যতে যথেষ্ট চিন্তার কারণ রয়েছে।

এভাবে জল বাড়তে থাকলে অচিরেই সমুদ্রের ধারের এলাকাগুলিকে জল ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে ৪০ কোটি মানুষ জলের কোপে পড়বেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *