![Vivekananda Flyover](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2016/03/vivekananda-flyover-5.jpg)
নির্মাণকারী সংস্থাকে ছেড়ে কথা বলবে না রাজ্য সরকার। এদিন দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই দুর্ঘটনা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে দুর্ঘটনায় মৃতদের ৫ লক্ষ টাকা, গুরুতর অসুস্থদের ৩ লক্ষ টাকা ও অল্প আহতদের ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সন্ধে নামার পরও যাতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যেতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য ফ্লাড লাইট ও পানীয় জলের দ্রুত বন্দোবস্ত করার জন্য কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দেন তিনি। উদ্ধারকাজের পাশাপাশি ঘটনাস্থলের আশপাশের সব কটি বাড়ি ফাঁকা করে দেওয়া হয়। ৩০০ সেনাকর্মী একটানা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যান। কংক্রিট ভেঙে ও গার্ডারগুলিকে গ্যাসকাটার দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যান তাঁরা। ব্যবহার হয় সেনার বিশেষ যন্ত্রও। এদিকে কেন সেনাকে উদ্ধারকাজে লাগাতে এত দেরি হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ দুর্ঘটনার পর প্রায় তিন ঘণ্টায় উদ্ধারকাজ সেভাবে এগোনো সম্ভব না হলেও সেনা নামার পর গতি পায় উদ্ধারকাজ। পরপর বার হতে থাকে মৃত ও আহত মানুষের দেহ। এদিকে জনবহুল এলাকায় উড়ালপুল নির্মাণের কাজ দিনের ব্যস্ত সময়ে নয়, রাতে হওয়ার কথা। কিন্তু সে নিয়ম না মেনে দুর্ঘটনার আগে উড়ালপুলে ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। আর তলা দিয়ে গাড়ি চলাচল করছিল। এদিন এমনই বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উড়ালপুলের উদ্ধার কাজে রাজ্যকে যেকোনও সাহায্য দিতে প্রস্তুত কেন্দ্র। বিবেকানন্দ উড়ালপুল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তরফে এভাবেই সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।