World

মিশর নয়, এশিয়াতেই পাওয়া গেল মমির খোঁজ, যা মিশরের চেয়ে অনেক পুরনো

মিশর দেশটি মমি শব্দটির সঙ্গে একেবারে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। পাশ্চাত্যের বিভিন্ন সাহিত্য, চলচ্চিত্রের কল্যাণে বহুদিন ধরেই মানুষের মনে মমি আর মিশরের সম্পর্ক জায়গা করে নিয়েছে।

মিশর এবং মমি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত হলেও বিশ্বের প্রাচীনতম মমির খোঁজ মিশরে, এমনকি আফ্রিকাতেও পাওয়া যায়নি। বরং এতদিন পর্যন্ত দেহ সংরক্ষণের সবচেয়ে প্রাচীন উদাহরণ হিসাবে চিলির নাম উল্লেখিত ছিল। কিন্তু এবার সেই হিসাবেও বদল ঘটতে চলেছে।

গবেষকেরা সম্প্রতি এশিয়া মহাদেশেই চিলির চেয়েও পুরনো মমির খোঁজ পেয়েছেন। মিশরীয় সভ্যতায় পাওয়া প্রাচীনতম মমিটির বয়স প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর। চিলির মমিটি তার চেয়েও পুরনো। তার বয়স প্রায় ৭ হাজার বছর।

চিন সব ইতিহাস ভেঙে দিয়েছে। কারণ সেখানে এর চেয়েও বেশি পুরনো মমির খোঁজ পাওয়া গেছে যার বয়স ৯ হাজার বছরেরও বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিককালের গবেষণায় দেখা গেছে এই বিষয়ে চিনকেও ছাপিয়ে গেছে ভিয়েতনাম।

ভিয়েতনামে পাওয়া নিদর্শনটির বয়স প্রায় ১৪ হাজার বছর। অবশ্য ভিয়েতনামে মমি করার পদ্ধতি ছিল আলাদা। সেখানে আগুন ও ধোঁয়াকে ব্যবহার করে দেহকে শুকিয়ে দেওয়া হত। তারপর সেটিকে সংরক্ষিত করার রীতি প্রচলিত ছিল।

চিন, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ার ১১টি জায়গায় মাটি খুঁড়ে এমন ১৪টি কঙ্কাল পাওয়া গেছে। সবগুলিকেই একটু কুঁকড়ে থাকা হাঁটু মোড়া অবস্থায় সমাধি দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া ওই মমিগুলিতে পোড়ার দাগ আছে। সংরক্ষণের জন্য দেহগুলিকে দীর্ঘক্ষণ ধরে হালকা তাপে সেঁকা হয়েছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

এক্ষেত্রে সেই পোড়ার দাগই রয়েছে। কঙ্কালগুলির এক্স-রে করিয়ে গবেষকরা এই বিষয়ে আরও নিশ্চিত হন। নব্য প্রস্তরযুগ শুরু হয় ৭ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে। ভিয়েতনামে পাওয়া মমিটি আরও বেশি পুরনো। তাই এই আবিষ্কারই প্রমাণ করে যে ওই যুগ শুরুর আগে থেকেই মানুষ দেহ সংরক্ষণ করত।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *