বিমান, প্রতীকী ছবি
বিমানটি রানওয়েতেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। ওড়ার জন্য প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ, কিন্তু উড়তে আর পারছেনা। বিমানের যাত্রীরাও কিছুটা অধৈর্য। সেই সময় পাইলট জানালেন জোরে হাওয়া বইছে। বাইরে গরমও যথেষ্ট। এই অবস্থায় বিমান নিয়ে ওড়া সম্ভব নয়। কারণ বিমানটি যাত্রীদের ভিড়ে বেশি ভারী হয়ে আছে। এই ভার নিয়ে এমন এক আবহাওয়ায় ওড়ার চেষ্টা ঝুঁকির। রানওয়ে ছোট হওয়ায় সেটা আরও ঝুঁকির।
পাইলট এটাও জানান যে তাঁর সংস্থার কাছে সবার আগে যাত্রী সুরক্ষা। তাই এখন একটাই পথ। তিনি তাঁর বিমান সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছেন। বিমানটিকে হালকা করা দরকার। এজন্য কমপক্ষে ২০ জন যাত্রীকে নেমে যেতে হবে।
পাইলট অনুরোধ করেন যাত্রীদের মধ্যে যাঁরা স্বেচ্ছায় নেমে যাতে চান তাঁরা যেন দয়া করে নেমে যান। তাহলে বাকিদের নিয়ে বিমানটি উড়তে পারবে। যাঁরা নেমে যাবেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন পাইলট।
ল্যানজেরোটি থেকে লিভারপুল যাচ্ছিল বিমানটি। বিমানটি ব্রিটিশ বিমান সংস্থা ইজিজেট-এর। রাত সাড়ে ৯টার সময় গত ৫ জুলাই ওড়ার চেষ্টা করেও বিমানটি ভারী হওয়ায় পাইলট ঝুঁকি নেননি।
যেহেতু সব যাত্রী টিকিট কেটেই বিমানে উঠেছেন তাই তাঁদের কাউকেই নেমে যেতে বাধ্য করতে পারছিলনা বিমান সংস্থা। কেউ যদি স্বেচ্ছায় নেমে যান সেই আশায় ছিলেন পাইলট থেকে সংস্থা।
অবশেষে ১৯ জন বিমানটি থেকে নেমে গেলে বিমানটি অনেকটা হালকা হয়। পাইলট বুঝতে পারেন এবার সেটি ওড়ার উপযুক্ত। তারপর রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিমানটি গন্তব্যের দিকে উড়ে যায়।