Lifestyle

পাহাড়ের ১ হাজার ৩৭৫ ফুট নিচে খনির মধ্যে হোটেলের ঘর, একবার ঘুরে আসবেন নাকি

গোটা বিশ্বকে কার্যত তাক লাগিয়ে দিয়েছে এ হোটেল। একটি পাহাড়ের ১ হাজার ৩৭৫ ফুট নিচে নেমে যেতে হবে এই হোটেলে থাকতে। খনির মধ্যে সাজানো রয়েছে বিলাসবহুল শয্যা।

Published by
News Desk

একটি সুবিশাল পাহাড়। তার নিচে রয়েছে একটি স্লেট পাথরের খনি। খনিটি আবার সেই ভিক্টোরিয়ার জামানার। এখন তার ব্যবহার নেই। খনি পর্যন্ত পৌঁছতে পাহাড়ের নিচে নেমে যেতে হবে।

একটু আধটু নয়, নেমে যেতে হবে ১ হাজার ৩৭৫ ফুট গভীরে। মাটির সেই তলদেশে নেমে গেলে পাওয়া যাবে খনিটিকে। তবে তা আর খনি নেই, এখন তা হোটেলে পরিণত হয়েছে।

অবশ্যই হোটেল বলতে যা বোঝায় তেমনটা নয়। খনির মধ্যে পাথরের খাঁজে খাঁজে খালি জায়গায় তৈরি হয়েছে ৪টি ২ শয্যা বিশিষ্ট ঘর। আর রয়েছে একটি ২ শয্যার পাথরের খাঁজের ঘর।

পাথরের খাঁজে বিছানা পাতা। দুপাশে দেওয়াল নেই। দেওয়ার হল মাটির তলায় কাটা পাথর। গুহার মধ্যে যেমনটা হয়। এই নিয়েই হোটেল।

হোটেলের নাম গো বিলো। গভীর ঘুম হয়তো একেই বলে। হোটেলটি কার্যকরী হয়েছে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে। যাকে বলা হচ্ছে বিশ্বের গভীরতম হোটেল।

হোটেলটিতে থাকার জন্য ১৪ বছরের নিচের অতিথিদের অনুমতি নেই। ১৪ বছর থেকে কিশোর কিশোরীরা বাবা মায়ের সঙ্গে থাকতে পারে।

মাটির প্রায় চোদ্দশো ফুট নিচে পারদ প্রায় সব সময়ই ১০ ডিগ্রিতে থাকে। তাই প্রত্যেককেই গরম পোশাক পরে নামতে বলা হয়।

পাথরের খাঁজের ১টি যে ঘর সেটিতে থাকার খরচ সবচেয়ে বেশি। ভারতীয় মুদ্রায় ১ দিন থাকার খরচ সাড়ে ৫৬ হাজার টাকার মত।

গো বিলো হোটেলের ২ শয্যার ঘর, ছবি – সৌজন্যে – ফেসবুক – @GoBelow

এছাড়া যে ৪টি ২ শয্যার থাকার ঘর রয়েছে সেখানে ঘরের দৈনন্দিন খরচ ৩৬ হাজার টাকা। খাবার গ্রাহকরা সঙ্গে আনতে পারেন। নাহলে হোটেলেও পাওয়া যায়।

চেনা হোটেলের বাইরে এক অচেনা খনিতে থাকার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চাইলে এই হোটেলের জুড়ি নেই। ব্রিটেনের ওয়েলসে স্নোডোনিয়া পাহাড়ের নিচে এই স্লেট পাথরের খনিতে গড়ে ওঠা হোটেলে থাকতে চাইলে ওয়েবসাইটে বুকিং করতে পারেন যে কেউ।

Share
Published by
News Desk